পিরোজপুরের দক্ষিণ বাদুরা গ্রামের রহিমা বেগম তার ১২ বছর বয়সী মেয়ে মারিয়ামকে খুঁজে পেতে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রুহুল আমিন নামে তার স্বামী অনেক আগেই মারা গেছেন। তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মারিয়াম তার তৃতীয় সন্তান।

পিরোজপুর থেকে বরিশাল হয়ে রহিমা বেগম তার মেয়েকে খুঁজতে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চঘাটে এসেছেন। কোথায় গেলে মেয়েকে খুঁজে পাবেন, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। আশুলিয়ায় বড় মেয়ের বাড়িতে এক রাত থেকে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে তিনি ঢাকার বিভিন্ন লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে ঘুরছেন।

মেয়ের খোঁজ পেতে রহিমা বেগম পিরোজপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি জানান, তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে মারিয়াম পিরোজপুরের বালিপাড়া নূরানি মাদরাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। গত ১৩ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে রহিমা বেগম তার ছোট মেয়ে সুমাইয়াকে মাদরাসায় পৌঁছে দিতে যান। এ সময় তিনি মারিয়ামকে বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন। ওইদিন বিকেল ৪টায় কাজ শেষে বাড়ি ফিরে মারিয়ামকে আর খুঁজে পাননি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি।

মারিয়ামের বয়স ১২ বছর, উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। তার গায়ের রং শ্যামলা, মুখ গোলাকার এবং কোঁকড়ানো চুল ছোট করে ছাঁটা। নিখোঁজ হওয়ার সময় তার পরনে ছিল নতুন জলপাই রঙের একটি থ্রিপিস। তার দুই হাত ও দুই পায়ে বিভিন্ন ধরনের দাগ আছে। মারিয়াম পিরোজপুরের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।

জিডির তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিরোজপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল জলিল জানান, সাধারণ ডায়েরির পর আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। সারা দেশের থানাগুলোতে বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে। ফেসবুক পেজেও ছবিসহ পোস্ট করেছি। পত্রিকায় নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি এবং এলাকায় পোস্টারিং করা হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো সন্ধান পাইনি। 

এদিকে মেয়ের খোঁজে পাগলপ্রায় রহিমা বেগম সদরঘাটে খোঁজাখুঁজি করার পর পুরান ঢাকার আদালত পাড়ায় গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তিনি অনুরোধ করেছেন, যদি কেউ তার মেয়ে মারিয়ামের খোঁজ পান, তাহলে যেন ০১৮৬৮-৯৫৫৬৪৯ এই নম্বরে জানান।

এনআর/এমএন