তিন ভবনেই ১৫টি, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় কেন পল্টনকেন্দ্রিক
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন
এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি
জনপ্রশাসনে এখন নিয়মিত উপসচিব পদ রয়েছে এক হাজারের মতো। কিন্তু এই পদে কর্মকর্তা রয়েছেন ১ হাজার ৫৯৬ জন। পদের চেয়ে কর্মকর্তার সংখ্যা আগে থেকেই বেশি ছিল। তারপরও গত মাসে ২৬৮ জনকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
পদোন্নতি দেওয়ার পর কর্মকর্তাদের দ্রুত পদায়ন করা যায় না। কারণ, পদায়নের মতো জায়গা কম, খালিও থাকে না। তখন কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে আগের পদেই রেখে দেওয়া হয়, তাঁরা আগের কাজই করেন। শুধু বাড়ে বেতন ও ভাতা। পাশাপাশি উপসচিব পদে তিন বছর চাকরির পর গাড়ি কেনার জন্য বিনা সুদের ঋণসুবিধা পাওয়া যায়।
যুগান্তর
গ্যাস সংকট কাটাতে ৫ কূপ খননের উদ্যোগ
দেশের গ্যাস সংকট মোকাবিলায় চারটি মূল্যায়ন এবং একটি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণ হিসাবে সরকার দেবে এক হাজার ২৪৪ কোটি ৮০ লাখ এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বাপেক্স) নিজস্ব তহবিল থেকে ৩১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা খরচ করা হবে। শাহবাজপুর-৫ ও ৬, ভোলা নর্থ-৩ ও ৪ এ মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন এবং শাহবাজপুর নর্থ ইস্ট-১ এ অনুসন্ধান কূপ খনন করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হচ্ছে বুধবার। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
আরও পড়ুন
সমকাল
ট্রাফিক বাতি জ্বলছে-নিভছে, তবু গাড়ি ইশারাতে চলছে
যানজট নিরসনে রাজধানীতে পরীক্ষামূলক চালু হওয়া স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সংকেতের আশানুরূপ ফল মিলছে না। যানবাহনের চাপের কারণে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তাল মেলাতে পারছেন না ট্রাফিক সদস্যরা। হাতের ইশারাতেই যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
দায়িত্বশীলরা বলছেন, স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল বসানোর উদ্দেশ্য শুধু যানজট কমানো নয়, বরং হারিয়ে যাওয়া পদ্ধতিতে মানুষকে নতুন করে অভ্যস্ত করা। ধীরে ধীরে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই ফিরতে হবে।
বণিক বার্তা
ঢাকার ওপর দিল্লির ভূ-অর্থনৈতিক প্রভাব এখনো অক্ষুণ্ন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গত এক বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক রাজনৈতিক অস্থিরতা, কূটনৈতিক টানাপড়েন ও পারস্পরিক বাগ্যুদ্ধে জর্জরিত। যদিও অর্থনীতির অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান ভিন্ন বাস্তবতা তুলে ধরছে। আমদানি-রফতানির পরিসংখ্যান বলছে, খাদ্যশস্য, তুলা, সুতা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে বাংলাদেশের ওপর ভারতের ভূ-অর্থনৈতিক প্রভাব এখনো অক্ষুণ্ন রয়েছে।
বণিক বার্তা
মূলধন ঘাটতি ঠেকেছে ২৯,২০৭ কোটি টাকায়
বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। কেবল গত ছয় অর্থবছরেই রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত এ ব্যাংকটিকে গুনতে হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা নিট লোকসান। মূলধন ঘাটতি গিয়ে ঠেকেছে ২৯ হাজার ২০৭ কোটি টাকায়। ব্যাংকটির ঋণখেলাপির চিত্রও উদ্বেগজনক। চলতি বছরের জুন শেষে মোট ঋণের ৪৯ দশমিক ৪৪ শতাংশই খেলাপি, যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা বলে ব্যাংকের নথিপত্রে উঠে এসেছে।
সমকাল
২০ বছর সাজা খাটা ২ হাজার কয়েদির মুক্তির সুযোগ
দেশে দুই হাজারের মতো বন্দি রয়েছেন, যারা যাবজ্জীবন সাজার অংশ হিসেবে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন। কারাবিধি অনুযায়ী, সরকার চাইলে তাদের বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি দিতে পারে।
১৮৬০ সালের পেনাল কোড অনুযায়ী, বাংলাদেশে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ৩০ বছর। এটি কমিয়ে যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে আনার কথাও ভাবছে সরকার।
প্রথম আলো
তাপমাত্রা বেড়ে দেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, কীভাবে হচ্ছে, কেন হচ্ছে
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের দিনমজুর পারভিন আক্তার (৪৭)। তিনি এই বাজারে আলুর একটি আড়তে কাজ করেন। বসে বসে আলু বাছাই করা তাঁর কাজ। প্রতিদিন পান ৬০০ টাকা। সংসারে অসুস্থ স্বামী। তবে তিনি মাঝেমধ্যে রিকশা চালান। স্বামীর আয় নিয়মিত নয়। তাঁদের মেয়ে ও এক ছেলে সঙ্গে থাকে। মেয়েটির আবার দুটি সন্তান আছে। পুরো পরিবারটি পারভিনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল।
বণিক বার্তা
লোকসানি ও ভর্তুকিতে চলা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও পাচ্ছেন বোনাস ও মুনাফার ভাগ
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুসারে বন্দর কর্তৃপক্ষের বিনিয়োগের বিপরীতে আয় (আরওআই) ন্যূনতম ৪ শতাংশ না হলে সেক্ষেত্রে ইনসেনটিভ বোনাস নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদিও এ শর্তপূরণ না করেই ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মীরা ইনসেনটিভ বোনাস নিয়েছেন। শুধু মোংলা বন্দরই নয়; রাষ্ট্রায়ত্ত আরো অনেক প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে লোকসানে থাকা এবং রাষ্ট্রের ভর্তুকি গ্রহণের পরও কর্মীদের অনৈতিকভাবে বিভিন্ন ধরনের বোনাস দিচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি থাকার কারণেই প্রতিষ্ঠানগুলোয় এ ধরনের অনৈতিক চর্চা চলে আসছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত আর্থিক অবস্থা নিরূপণে ফরেনসিক অডিট করার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
প্রথম আলো
‘বুলিংয়ের শিকার’ হয়ে মাস্টার্স না করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন তরুণী, কী ঘটেছিল
‘ঘটনাগুলো আমাকে এত তাড়া করত, আমি কাঁদতাম। আমার ক্লাসে যেতে ইচ্ছা করত না। যৌন হয়রানি নিয়ে অনেকে কথা বলেন। কিন্তু বুলিং-গসিপের মতো মানসিক হয়রানির ভয়াবহতা ততটা গুরুত্ব পায় না।’
কথাগুলো বলেছিলেন এক তরুণী (২৬)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ার সময় তিনি কিছু সহপাঠীর মাধ্যমে বুলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি।
কালের কণ্ঠ
রাজনৈতিক অস্থিরতায় শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আবার অস্থির হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের আগে চার দফা দাবিতে কয়েকটি দলের যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা ও রাজনৈতিক সহিংসতার আশঙ্কায় উৎকণ্ঠায় রয়েছেন ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা। নতুন বিনিয়োগে খরা এবং অর্থনৈতিক সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় থাকা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই রাজনৈতিক অস্থিরতা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
প্রথম আলো
তিন ভবনেই ১৫টি, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় কেন পল্টনকেন্দ্রিক
রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড ধরে একটু সামনে এগোলেই ১৬ তলা একটি ভবন। নাম জামান টাওয়ার।
ভবনটির ছাদে গিয়ে গত ১১ আগস্ট ও ১৪ সেপ্টেম্বর দেখা যায়, সেখানে তিনটি কক্ষে তিনটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়—ন্যাশনাল লেবার পার্টি, জনতার অধিকার পার্টি (পিআরপি) এবং দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন। রয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মহানগর কার্যালয়। ভবনটির ষষ্ঠ তলায় রয়েছে আরেকটি দলের কার্যালয়, নাম আমজনতার দল।
কালের কণ্ঠ
নির্বাচনের আগে দেওয়া হবে না আগ্নেয়াস্ত্রের নতুন লাইসেন্স
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নতুন করে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সুযোগ নেই। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় অস্ত্রের নতুন লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তবে আপাতত কাউকে অস্ত্র কিনতে লাইসেন্সের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত বছর বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া হয়েছিল।
সমকাল
তিস্তা প্রকল্পে বেইজিংয়ের সঙ্গে এগোচ্ছে ঢাকা
চীনের সহায়তায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির কাছে ঋণও চেয়েছে ঢাকা। আর এ প্রকল্পটিতে বেইজিংয়েরও যে তীব্র আগ্রহ রয়েছে, তা পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামকে জানালেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
আজকের পত্রিকা
দলগুলোর মতানৈক্য: মাঠে গড়াচ্ছে রাজনীতি
দীর্ঘদিন আলোচনার পরও জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি জুলাই সনদের সাংবিধানিক বিষয়গুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদের মাধ্যমে সমাধানের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল জুলাই সনদের আইনি রূপ দিয়ে তার ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচন চায়। এ ছাড়া সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে মতানৈক্য কাটেনি দলগুলোর। এ অবস্থায় দাবি আদায়ে তিন দিনের কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াতসহ তিনটি ইসলামি দল। এর মধ্য দিয়ে আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথে গড়াচ্ছে রাজনীতি, বাড়ছে উদ্বেগ ও শঙ্কা।
যুগান্তর
ঘরে ঘরে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সারা দেশে ঘরে ঘরে এ দুটি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের সারা শরীরে তীব্র ব্যথা ছাড়াও অনেকে ঠিকমতো হাঁটতেও পারছেন না। এছাড়া চিকিৎসাব্যবস্থার নানা সীমাবদ্ধতার কারণে এ রোগ সহসা চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে সময়মতো চিকিৎসা না হওয়ায় অনেকের ভোগান্তির পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যয়ও বাড়ছে। বিশেষ করে মফস্বল এলাকায় ডাক্তাররা চিকুনগুনিয়া চিহ্নিত করতে না পেরে অনেক সময় ভুল চিকিৎসাও দিচ্ছেন। এসব কারণে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ে জনমনে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। যুগান্তরের অনুসন্ধানে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত বেরিয়ে এসেছে।
কালবেলা
‘দ্বন্দ্বে আটকা’ জুলাই সনদ
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দফায় দফায় বৈঠক আর আলোচনার পরও জুলাই জাতীয় সনদের কোনো সুরাহা হচ্ছে না। মূলত প্রণয়নের চেয়ে সনদ কার্যকরের পদ্ধতি নিয়েই জটিলতা বেশি। সেইসঙ্গে আইনগত ভিত্তি দিয়ে জুলাই সনদের আলোকে আগামী সংসদ নির্বাচন এবং অতি জরুরি সংস্কারগুলো নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন ইস্যুতে দলগুলোর পরস্পরবিরোধী কঠোর অবস্থানের কারণে বহুল আলোচিত এই সনদ বাস্তবায়নের অনিশ্চয়তা কাটছেই না। সংবিধান সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে দলগুলোর তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নানামুখী দ্বন্দ্বে আটকে আছে জুলাই সনদ।