নির্বাচন কমিশনের কাজে গতিশীলতা আনতে দুই আইন সংস্কারের অনুমোদন
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাজে গতিশীলতা আনতে কমিশনের প্রস্তাবিত দুটি আইন সংস্কারের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত দুটি আইন সংশোধনের ফলে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা যাবে। বিশেষ করে নির্বাচনী দায়িত্বে অবহেলা করলে শাস্তির বিধান আরও স্পষ্ট হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১-এর সংশোধনে ধারা ২, ধারা ৫ ও ধারা ৬-এ গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন কর্মকর্তার সংজ্ঞা নতুনভাবে নির্ধারণ, শৃঙ্খলামূলক শাস্তিসংক্রান্ত ধারা হালনাগাদ এবং নতুন উপধারা সংযোজন ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বৈঠকে পূর্ববর্তী ব্যাচে গৃহীত ১২১টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৭৭টি সংস্কারের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এসব সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ২৪টি এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। এ ছাড়া ১৪টি আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে এবং বাকিগুলো বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। সংস্কার কমিশন যেসব প্রস্তাব দিয়েছে, এর চেয়ে অনেক বেশি সংস্কার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টাদের নির্দেশে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আগামী মাসের মধ্যে এসব সংস্কারের একটি সংকলন বুকলেট আকারে প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নিজেদের উদ্যোগে সম্পন্ন সংস্কারগুলোর একটি তালিকা দ্রুত প্রস্তুত করে জমা দিতে বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
এমএসআই/এআইএস