‘১৭ বছরে সাতক্ষীরা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আসেনি’
সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জেলা, যা জাতীয় রাজস্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবুও বিগত ১৭ বছর ধরে এই জেলা কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আসেনি। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সাতক্ষীরা জেলা বারবার বৈষম্যের শিকার হয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সাতক্ষীরা উন্নয়ন সমন্বয় ফোরামের আয়োজনে এক নাগরিক সমাবেশ বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সাতক্ষীরা উন্নয়ন সমন্বয় ফোরামের সভাপতি ইকবাল মাসুদের সঞ্চালনায় নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা জেলা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী আবুল কাশেম, সাতক্ষীরা জেলা সমিতির উপদেষ্টা অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা সমিতির সহ-সভাপতি সামছুল আলম, সাতক্ষীরা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বাবু, এলজিইডি কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জেলা, যা জাতীয় রাজস্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবুও বিগত ১৭ বছর ধরে এই জেলা কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আসেনি। দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুন্দরবন সাতক্ষীরায় অবস্থিত হওয়ায় প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক এ জেলায় আগমন করেন। কিন্তু যোগাযোগ অবকাঠামোর করুণ দশা, সুপেয় পানির সংকট, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের দুরবস্থা এবং অবহেলার কারণে সাধারণ মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। খেলাধুলার জন্য কোনো ক্রীড়া কমপ্লেক্স নেই। রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা নেই, ফুড প্রসেসিং ব্যবস্থাও নেই। তাই সরকারের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি সাতক্ষীরা জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশে যে-সব দাবি উপস্থাপন করা হয় সেগুলো হলো—অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন, সাতক্ষীরাকে দেশের রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত করা, সুন্দরবন ঘিরে টেকসই ইকোটুরিজম গড়ে তোলা, উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বাঁধ নির্মাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সার্ভেয়ার ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা, পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর বাস্তবায়ন, আধুনিক সেচ ব্যবস্থা ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, সাতক্ষীরাকে গ্রেড-১ জেলা ঘোষণা ও পাটকেল ঘাটাকে উপজেলা পর্যায়ে উন্নীত, আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ, গ্রামীণ মানুষের জন্য জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করা, নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতা প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প, স্বাস্থ্য খাতে লোকবল পূরণ ও নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া, মৃৎশিল্পে বিনিয়োগ, আম, চিংড়ি ও মৎস্যচাষ নির্ভরে আধুনিক সংরক্ষণাগার ও প্রসেসিং প্লান্ট করা, সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান রোধে প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারি ব্যবস্থা করা এবং সাতক্ষীরায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ করা।
ওএফএ/এআইএস