প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

প্রথম আলো

দাম নিয়ে বিরোধ, আদালতে যেতে পারে আদানি

কয়েক দফা আলোচনা করেও কয়লার দাম নিয়ে ভারতের বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে। তবে চুক্তির বাইরে ছাড় দিতে রাজি নয় আদানি। তারা বিরোধ নিষ্পত্তি করতে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতে যেতে পারে।

আদানি ইতিমধ্যে আইনি পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। আদানির একটি সূত্রও তা নিশ্চিত করেছে। বিদ্যুৎ বিভাগও আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

বণিক বার্তা

রাকসুর ভোট পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। পোষ্য কোটা নিয়ে ক্যাম্পাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রাকসু নির্বাচন কমিশনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ভোট পেছানোর তথ্য জানিয়ে দেয়া হয়।

যুগান্তর

দুর্গাপূজায় বেশি ঝুঁকিতে ১১ জেলা

আসন্ন দুর্গপূজাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সহিসংতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিতে আছে ১১ জেলা। উচ্চ ঝুঁকিতে আছে সাত হাজার ৫৪টি পূজামণ্ডপ। ৮২৭৯টি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা নেই। সিসি ক্যামেরা নেই এবং অরক্ষিত স্থানে তৈরি মণ্ডপগুলোকে টার্গেট করতে পারে সরকারবিরোধী চক্র। কয়েকটি জেলার কোনো পূজামণ্ডপই যেন অরক্ষিত না থাকে, সে ব্যাপারে জোর দিতে হবে। পূজা শুরুর আগে দর্শনার্থী বা ভক্ত বেশে মণ্ডপে প্রবেশ করে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে পারে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা চালানো হতে পারে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগসহ স্বার্থান্বেষী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করতে সক্রিয়। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র প্রমাণ করতে তারা দেশের যে কোনো স্থানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে পারে। এরাসহ সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

প্রথম আলো

এক বছর ধরে ভাঙা পড়ে আছে ভাস্কর্যগুলো

রাজধানীর শিশু একাডেমির সামনে শিশুর ভাস্কর্য ‘দুরন্ত’র স্থানে এখন একটি ব্যানার রাখা আছে। সেখানে ‘দুরন্ত’ নেই।

দিনাজপুরের তেভাগা চত্বরে তির-ধনুক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সাঁওতাল বিদ্রোহের স্মারক সিধু-কানুর ভাঙা ভাস্কর্য থানা-পুলিশের হেফাজতে আছে।

যুগান্তর

মহাসড়কে নাশকতার টার্গেট ৫ পয়েন্ট

দেশে নানাভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির দুরভিসন্ধি করছেন কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিরা। বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কাজে লাগিয়ে তাদের অনুসারীদের একযোগে মাঠে নামানোর প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে ঢাকার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নাশকতার টার্গেট হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের পাঁচটি পয়েন্ট বেছে নেওয়া হয়েছে। ভয়ংকর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে গাজীপুরে। সেখানে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটিয়ে পুরো শিল্পাঞ্চল এলাকায় পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে গোপন তৎপরতা চলছে। আর ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখ নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া স্পর্শকাতর স্থান হিসাবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড়, কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু সড়ক বেছে নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দারা এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে পুলিশ। এসব বিষয়ে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও টাঙ্গাইল থেকে যুগান্তরের ব্যুরোপ্রধান ও প্রতিনিধিরাও নানা তথ্য পাঠিয়েছেন।

প্রথম আলো

জিনিসপত্রের দাম নিয়ে ৭০% মানুষের উদ্বেগ: পিপিআরসির জরিপ

সমাজের নানা আর্থিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক উদ্বেগের কারণে প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা হারিয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ। ঘুষ আগের চেয়ে কমলেও হয়রানির শিকার মানুষেরা বলছেন, ৭৪ শতাংশ ক্ষেত্রে টাকা ছাড়া কিছু হয় না।

বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) জরিপে এই চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার রাতে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ‘পরিবার পর্যায়ে মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান’ শীর্ষক এক আলোচনায় সংস্থাটির সাম্প্রতিক জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়। গত মে মাসে দেশের ৮ হাজার ৬৭টি খানার মধ্যে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান।

কালের কণ্ঠ

বৃষ্টি জলাবদ্ধতা যানজট ভোগান্তি

রাজধানীতে রবিবার রাত থেকে থেমে থেমে চলছিল ঝিরঝির বৃষ্টি। ঘন ঘন বিজলি চমকাচ্ছিল, সঙ্গে বজ্রপাত। গতকাল সোমবার ভোর থেকে শুরু হয় তুমুল বর্ষণ। টানা কয়েক ঘণ্টার অবিরাম বৃষ্টিপাতে ডুবে যায় নগরীর অনেক এলাকার মূল সড়ক ও অলিগলি।

বণিক বার্তা

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর ভুল ছিল কি

কক্সবাজারের ভয়াবহ ভিড় ও পরিবেশগত চাপ কমাতে রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে ভাসানচরে স্থানান্তর করে সরকার। উদ্দেশ্য ছিল উন্নত বাসস্থান, নিরাপত্তা ও মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করা। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা ও মাঠপর্যায়ের তথ্যে ভিন্ন চিত্র উঠে এসেছে। পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি, খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্য ঝুঁকি, কর্মসংস্থান সংকট ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির ফলে ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের জীবন কক্সবাজারের তুলনায় আরো ব্যয়বহুল ও জটিল হয়ে উঠেছে। প্রত্যেক শরণার্থীর ভরণপোষণ খরচ কক্সবাজারের প্রায় তিন গুণ হওয়ায় এ মডেলের অর্থনৈতিকভাবে টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। আলোচনায় এসেছে ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর আদৌ সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল কিনা, নাকি এটি শেষ পর্যন্ত ব্যয়সাধ্য কিন্তু মানবিক দিক থেকে অকার্যকর পদক্ষেপে পরিণত হচ্ছে।

কালবেলা

অফিস সময় শেষে শুরু অনিয়মের অফিস

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) বহির্গমন শাখা মূলত বিদেশগামী কর্মীদের নিরাপদ, বৈধ ও সুশৃঙ্খল কর্মসংস্থানের দায়িত্বে নিয়োজিত। এ শাখাটি ‘রেস্ট্রিকটেড এরিয়া’ ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ এবং প্রতিটি ফাইল যাচাই হয় নিয়মমাফিক। কিন্তু অফিসের নির্ধারিত সময় শেষ হতেই চিত্র বদলে যায়। সন্ধ্যা নামতেই সরগরম হয়ে ওঠে নানা এজেন্সির লোকদের আনাগোনায়। সক্রিয় হয়ে ওঠে অসাধু সিন্ডিকেট। অনেকক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের চেয়ারে বসে নিজেরাই কাজ সারেন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা। এক দিনে ৭৯টি ফাইল অনুমোদন, জাল ও এডিটেড পাসপোর্ট দিয়ে ছাড়পত্র—এসব কার্যক্রমের প্রমাণ কালবেলার হাতে রয়েছে। অনেক এজেন্সির সৌদিতে কর্মী পাঠানোর অনুমোদন নেই, তবুও তারা অসংখ্য শ্রমিক পাঠিয়েছে। সহায়সম্বল বিক্রি করে স্বপ্ন দেখা প্রবাসীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সরকারি সার্ভারে অসাধু চক্রের অবাধ প্রবেশের ফলে নাগরিকদের তথ্যও ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। নিয়ম, নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার মুখোশের আড়ালে এ অনিয়মের আসর চলছেই।

বণিক বার্তা

ভারতে বিদেশী পর্যটকদের তালিকায় আবার শীর্ষ পাঁচে বাংলাদেশীরা

ভারত ভ্রমণকারী বিদেশী পর্যটকদের তালিকায় আবারো শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশীরা। ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশটিতে যাওয়া মোট বিদেশী পর্যটকের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ গেছেন বাংলাদেশ থেকে। গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগ পর্যন্ত একই চিত্র ছিল। তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশীদের জন্য ভারতীয় ভিসা সীমিত হলে পরিস্থিতি বদলে যেতে শুরু করে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শীর্ষ পাঁচ দেশের পর্যটকের তালিকা থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবেশী দেশটিতে আবারো বাংলাদেশী পর্যটক বাড়তে শুরু করেছে।

সমকাল

সরকারি হাসপাতালের ৫১৮ জরুরি চিকিৎসা যন্ত্র বিকল

দেশে সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা প্রায় ৭০০। এর মধ্যে ২৪৬ হাসপাতালের ৫১৮টি জরুরি চিকিৎসা যন্ত্র দীর্ঘদিন বিকল পড়ে আছে। এমআরআই, সিটিস্ক্যান, ক্যাথল্যাব, রেডিওথেরাপি, ডায়ালাইসিস মেশিনের মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও এর মধ্যে রয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (নিমুউ) গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত যন্ত্র মেরামতের আবেদন বিশ্লেষণ করে হাসপাতালগুলোর যন্ত্রপাতির এ দুরবস্থার চিত্র উঠে এসেছে।