কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট নয়, সংরক্ষণে কঠোর অধ্যাদেশ হচ্ছে
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, কৃষি জমি সংরক্ষণে কঠোর বিধান রেখে ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়ণে কাজ চলছে। কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। বাড়তে থাকা জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতে কৃষি জমি রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের সাফল্য, অর্জন ও সার্বিক অগ্রগতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
উপদেষ্টা বলেন, গত এক বছরে ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও চারা এবং অন্যান্য সহায়তা বাবদ ৮৯৩ কোটি ২০ লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সারের বকেয়া ২০ হাজার ৬৯১ কোটি টাকাসহ মোট ২৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। রাশিয়া থেকে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মে. টন সার প্রাপ্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উপদেষ্টা বলেন, সার আমদানির সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ায় সরকারের ২৩৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯ হালনাগাদ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পাটকলের অব্যবহৃত গুদামকে সার মজুতের জন্য ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বালাইনাশক বিধিমালাও সংশোধন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গত এক বছরে ২ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবং ৩টি পরিমার্জন ও ২টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, শাক-সবজি সংরক্ষণে ১০০ মিনি কোল্ড স্টোরেজ বসানো হচ্ছে। পেঁয়াজ ও আলু সংরক্ষণের জন্য এয়ারফ্লো মেশিন ও বিশেষ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। যার সুফল আমরা ইতোমধ্যে পাচ্ছি। আলুর দাম হিমাগার গেটে সর্বনিম্ন ২২ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এসএইচআর/বিআরইউ