বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ২০০৭ সালের ঘোষণা অনুযায়ী অটোরিকশা চালকদের নিবন্ধন বাস্তবায়ন করাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিএনজি অটোরিকশা চালক সংগ্রাম পরিষদ। শুক্রবার (১৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— নামমাত্র সরল সুদে চালকদের সিএনজি অটোরিকশা কেনার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ব্যাংক ঋণ দিতে হবে। ঋণের ৫০ শতাংশ টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে; চালক ছাড়া ব্যক্তি মালিকানায় সিএনজি অটোরিকশার নিবন্ধন (ব্লু-বুক) প্রদান করা চলবে না; ঢাকা মেট্রোতে সিএনজি অটোরিকশার দৈনিক জমা ৫০০ টাকা ও অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা করতে হবে; ‘ইয়েস পার্কিং’ না দেওয়া পর্যন্ত ‘নো পার্কিং’ মামলা ও মিটার মামলা দেওয়া যাবে না; বর্তমান সিএনজি মালিকরা চালকদের নিয়োগপত্র দিতে হবে; নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন করতে সহজ শর্তে ও অল্প অর্থে প্রদান করতে হবে; মহাসড়কে সিএনজি চলাচলের অনুমতি দিতে হবে; সড়কের খানাখন্দ রিপিয়ারিং করে জেব্রা ক্রসিং, স্পিড ব্রেকার ও রোড ডিভাইডার এবং শাখা সড়কে (অ্যাপ্রোচ) অ্যারো চিহ্ন দৃশ্যমান রঙে রঙিন করতে হবে এবং দেশের সকল সেতুতে টোল ৫০ শতাংশ করতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা চালকরা কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেও অন্ন, বস্ত্র, ছেলেমেয়েদের শিক্ষার খরচ চালানো, মাস শেষে ঘরভাড়াটাও একসাথে দেওয়া দায় হয়ে ওঠে। পরিবারপরিজন অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা পর্যন্ত করতে পারি না। এদিকে রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশার মালিক-প্রশাসন ও চাঁদাবাজ দালালদের অত্যাচার তো আছেই। এখন সেসবের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। করোনার ভেতরও অনৈতিকভাবে মাসে ২ বার জমার টাকা বাড়িয়েছে মালিকরা। 

তারা আরও বলেন, প্রায় এক হাজার সিএনজি মালিকদের কাছে ঢাকা শহরের প্রায় এক লাখ সিএনজি চালক ও এক কোটি যাত্রী জিম্মি। যাত্রীদের ধারণা সিএনজি চালকরা যাত্রীদের ওপর জুলুম করে। কিন্তু চালকরা কতটা অসহায় সেকথা কখনও কেউ জানেই না, শুনেও না। আমরা চালকরা নিয়োগপত্র না থাকায় বছরে তিন-চারবার বেকার হই। সিএনজি অটোরিকশা চালকদের নামে বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে। এরা মূলত মালিকপক্ষের দালালি করে নিজেদের আখের গোছানো ছাড়া আর কিছুই বোঝে না।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফ, যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম, ফোরকান, এ. আর জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

এমএইচএন/এইচকে