প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালকের সাক্ষাৎ
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) নিউইয়র্কের একটি হোটেলে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় তা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বার্তায় বলা হয়, তাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল চলমান রোহিঙ্গা সংকট, বিশেষ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দশ লক্ষেরও বেশি শরণার্থীর জন্য মানবিক কার্যক্রমের উপর তীব্র তহবিল ঘাটতি। একটি প্রধান উদ্বেগ ছিল শিবিরে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা পরিষেবার উপর এই তহবিল কাটছাঁটের প্রভাব।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
দাতাদের তহবিল কাটছাঁটকে একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসাবে বর্ণনা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তারা ইতোমধ্যেই স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য করেছে এবং এর ফলে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শিক্ষকের চাকরি হারিয়েছে।
তিনি বলেন, এটি একটি বিপর্যয়। শিবিরে শিক্ষা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা শিশুর জন্য আশার আলো জাগিয়েছে। আমাদের উদ্বেগ এই শিশুদের জন্য, যারা রাগান্বিত তরুণ হিসেবে বেড়ে উঠছে - এবং এই ক্রোধ অপ্রত্যাশিত উপায়ে ফুটে উঠতে পারে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক রাসেল বিশ্বব্যাপী তহবিল পরিবেশের একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে উদার ইউরোপীয় দেশগুলিও ইউনিসেফের মতো সংস্থাগুলিতে তাদের মানবিক অবদান হ্রাস করছে।
তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি রোহিঙ্গা যুবকদের জন্য দক্ষতা প্রশিক্ষণ চালু করার আহ্বান জানান, যাতে তারা তাদের স্বদেশে ফিরে আসার পরে সেই দক্ষতাগুলি প্রয়োগ করতে পারে।
ইউনিসেফের উপ-নির্বাহী পরিচালক টেড চাইবান, সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলিতে ইতোমধ্যে শিক্ষার ইতিবাচক প্রভাবের উপর জোর দিয়েছিলেন। রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে শিক্ষার স্তর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় উপস্থিত অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, এনসিপির সিনিয়র নেতা তাসনিম জারা এবং এসডিজি সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ।
এমএসআই/এআইএস