মানবাধিকার কনভেনশনে ড. তামিজী
বৈষম্যহীন মানবিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ‘মানবতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই
সমাজ ও রাষ্ট্রে বৈষম্যহীন মানবিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ‘মানবতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন মানবতন্ত্র প্রবর্তক কবি ও সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘রয়েল ইউনিভার্সিটি নিবেদিত দ্বিতীয় ঢাকা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশন ২০২৫’-এর সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি আয়োজিত এ কনভেনশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি মীর হাসমত আলী। সূচনা পর্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন।
বক্তারা বলেন, যেখানে বৈষম্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটবে, সেখানেই মানবাধিকার কর্মীদের প্রতিবাদ জানাতে হবে। তারা ঘোষণা দেন, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি প্রতিবাদ করবে।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন সিনিয়র সচিব মো. শামসুল আলম, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি সরদার তমিজউদদীন আহমেদ, কর্নেল এস এম ফয়সাল, কবি আসাদ কাজল, কবি জামসেদ ওয়াজেদ, এশিয়াটিক থ্রি সিক্সটির গ্রুপ ইডি সৈয়দ জোবায়ের আহমেদ বাবু, মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ইমরোজ সোহেল, জিয়া সাইবার ফোর্সের উপদেষ্টা মেজর (অব.) কাজী মনজুরুল ইসলাম প্রিন্স, মৎসজীবী দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আবদুর রহিম, গবেষক কাজী খায়রুল বাশার, রোটারিয়ান প্রিন্সিপাল সালাউদ্দিন ভুঁইয়া ও বাংলা৫২নিউজের হেড অব এইচ আর মোহাম্মদ খায়রুল হাসান পলাশ প্রমুখ। মানবাধিকার কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেন জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আফতাব উদ্দীন আহমেদ। মানবাধিকার শপথ পরিচালনা করেন বিচারপতি মীর হাসমত আলী। কনভেনশন পরিচালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ ও কবি রলি আক্তার।
এতে রয়েল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আ ন ম মেশকাত উদ্দীন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামকে শিক্ষায় অবদান রাখার জন্য ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। শিশু শিক্ষায় অবদানের জন্য ফেলোশিপ পান প্রিন্সিপাল সামসুন নাহার লস্কর, মাদকবিরোধী প্রচারণায় অবদানের জন্য ফেলোশিপ পান ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী। ব্যবসায় ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় খোরশেদ আলম অপু ও সবুর শেখকে।
সভায় গাজায় ত্রাণ বহনকারী জাহাজে হামলা ও মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে নারকীয় গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করতে হবে।
কনভেনশনে জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির আর্থসামাজিক প্রকল্প ‘যুব কল্যাণ’ এর লোগো উন্মোচন করেন অতিথিরা। সাংস্কৃতিক পর্বে মানবাধিকার কর্মীরা নাচ, গান ও নাট্য পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে উৎসবমুখর করে তোলেন। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল এটিএন বাংলা। অনুষ্ঠানে সমন্বয়কারী ছিলেন মাঈনউদ্দীন, এ বি বাদল ও নাজমুল হাসান মিলন।
এসএসএইচ