পাট শিল্পকে বাঁচাতে কারখানায় উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি সংযোজন করা ও শ্রমিক-কর্মচারীর বকেয়া পরিশোধ করতে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ। একইসঙ্গে পিপিপি বা ব্যক্তি মালিকানার নামে লুটপাট বন্ধ, বিরাষ্ট্রীয়করণ বাতিলের দাবিও জানিয়েছে তারা।

শনিবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পরিষদটি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত বছরের ২৮ জুন আকস্মিক এক ঘোষণার মধ্য দিয়ে সরকার অবশিষ্ট ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করেছিল। আজ এই জুন মাসে তা এক বছরে গড়াল। এতে সেদিন স্থায়ী, বদলি ও ক্যাজুয়াল-সব মিলিয়ে প্রায় ৫১ হাজার পাটকল শ্রমিককে বেকার করে দেওয়া হয়েছিল। পাটকল বন্ধ করার একবছর পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়নের কোনো দৃশ্যমান লক্ষণ নেই। বন্ধ করা মিলের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ৫০ শতাংশ নগদ অর্থ এবং বাকি ৫০ শতাংশ সঞ্চয় স্কিমের মাধ্যমে তিন মাস অন্তর মুনাফা পাওয়ার যে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছিল; শ্রমিকরা সেই অর্থ এখনো পায়নি। এরইমধ্যে তাদের প্রাপ্ত নগদ টাকা সংসারের জন্য খরচের ফলে তা শূন্য হতে চলেছে। অন্যদিকে বদলি শ্রমিকদের কোনো পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। ফলে তারা মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছেন। গত একবছর ধরে তারা তাদের পাওনার জন্য ধরনা দিয়ে বিফল হয়েছেন।

তারা আরও বলেন, সরকার ৬ লাখ কোটি টাকার বেশি বাজেট ঘোষণা করেছে। ঐ বাজেটে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু ও শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের কোনো দিক নির্দেশনা নেই। বিশেষ বরাদ্দও নেই। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু, আধুনিকায়ন ও উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির সংযোজন এবং উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা ও শ্রমিক কর্মচারীর সমুদয় বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানাচ্ছি।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পাট, সুতা, বস্ত্রকল, শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শ্রমিকনেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী, শ্রমিকনেতা কামরূল আহসান, আসলাম খান, শরিফুজ্জামান শরিফ, আব্দুল গাফ্ফার, হাসু বেগম ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দিপক শীল প্রমুখ।

এমএইচএন/জেডএস