ধর্ষণের মামলা পরিচালনার সময় কারও মাধ্যমে আদালত প্রভাবিত হবে না বলে প্রত্যাশা করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য হলেই ধর্ষককে শাস্তি দেওয়া যায়। এসব মামলার দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

শনিবার (১৯ জুন) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আমি আশা করব, ধর্ষণের মামলা পরিচালনার সময় কারও মাধ্যমে আদালত প্রভাবিত হবে না। বিচারহীনতা, বিচারে বিলম্বের অভিযোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রায় দিতে কালক্ষেপণ কাম্য নয়। প্রয়োজনে ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে সাজা না পায় আর অপরাধী যাতে নিস্তার না পায়।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, আমরা নুসরাত ধর্ষণ ও হত্যা মামলার দ্রুত রায় দেখেছি, যা প্রশংসনীয়। কিন্তু রায় এখনো কার্যকর হয়নি। সব ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলার দ্রুত রায় এবং রায় কার্যকর হলে এধরনের জঘন্য অপরাধ কমে আসবে। পাশাপাশি বিভিন্ন মহলের মধ্যে ধর্ষক ও ভুক্তভোগীর বিয়ে সম্পর্কিত আদালতের নির্দেশের সমালোচনা উল্লেখ করেন তিনি।

আলোচনায় আরও যুক্ত ছিলেন জাতীয় ইনকোয়ারি কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আরা বেগম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির প্রমুখ।

এমএইচএন/জেডএস