ফায়ার সার্ভিস
চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন লাগা ভবনটির অগ্নিনিরাপত্তা সনদই ছিল না
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার যে ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে, সেটির অগ্নিনিরাপত্তা সনদই ছিল না। এছাড়া ভবনের আশপাশে যে ন্যূনতম জায়গা রাখতে হয়, সেটির দুই পাশ দিয়ে আগুন নেভানোর সুযোগ ছিল না। এ কারণে আগুন নির্বাপণ করতে বেগ পেতে হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অগ্নিনিরাপত্তা সনদ পেতে আবেদন করা হয়েছে কেবল। তবে নিয়ম অনুযায়ী এখনো পরিদর্শন করা হয়নি। তার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ভবনের দুই পাশ দিয়ে আগুন নেভানোর সুযোগ ছিল না। অন্য দুই পাশ থেকে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে ৮ তলা ভবনের ৭ তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সন্ধ্যার দিকে পুরো ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে।
দাউ দাউ করে জ্বলা আগুনে আশেপাশের কয়েকশো মিটার পর্যন্ত দূরে আগুনের তাপ অনুভব হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবি যোগ দেয়। কিন্তু আগুনের তীব্রতায় তারা একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হালকা বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু তাতেও আগুন নেভেনি। আগুনে জ্বলতে জ্বলতে ভবনটির কোনো কোনো অংশ ধসে পড়ে।
পরদিন (শুক্রবার) সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে আরও সময় লাগবে বলে জানায় তারা। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত ভবনটিতে অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এবং জিহং মেডিকেল কোম্পানি নামের দুটি প্রতিষ্ঠান আছে। ভবনটির আটতলা খালি। সাততলায় অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এবং জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদাম। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। অ্যাডামস ক্যাপে টাওয়েল ও ক্যাপ এবং জিহং মেডিকেল সার্জিক্যাল গাউনসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করা হয়।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের একজন কর্মকর্তা শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আমাদের এখনও ১৭ ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে সময় লাগবে। আগুনের কারণ সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।
এমআর/বিআরইউ