পায়রার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দৈনিক ক্ষতি ৫ কোটি টাকা
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন
জুলাই জাতীয় সনদে ২৪ দলের সই
নানা অনিশ্চয়তা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সই হয়েছে নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে তৈরি এই সনদে শুক্রবার সই করেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট। পাশাপাশি সনদে সই করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা।
বিজ্ঞাপন
সমকাল
নানা প্রেক্ষাপটে আগেও ৯ বার স্থাপিত হয় সাব- জেল
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সম্প্রতি সাব-জেল বা অস্থায়ী কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে চলেছে নানা আলোচনা। যদিও গত ৫৪ বছরে কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগারের বাইরে বিশেষ প্রেক্ষাপটে আরও ৯ বার সাব-জেল স্থাপন করা হয়েছে। কার্যক্রম শেষে এসব সাব-জেল গুটিয়ে নেওয়া হয়। শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ছাড়াও বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের এসব অস্থায়ী কারাগারে রাখা হয়েছিল। সেনানিবাসের ভবনে সাব-জেল স্থাপন এ ধরনের দশম ঘটনা।
আজকের পত্রিকা
আন্দোলনে নামতে পারে এনসিপি
জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজধানীতে গতকাল শুক্রবার সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতারা উপস্থিত থাকলেও সেখানে ছিলেন না এনসিপির কেউ। অথচ এই দলের উদ্যোগেই মূলত জুলাই জাতীয় সনদের দাবি উঠেছিল। তাদের ছাড়াই সনদ স্বাক্ষরকে প্রতারণা হিসেবে দেখছে দলটি। এই অবস্থায় সনদে নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও রাজপথে আন্দোলনে নামার কথা বলছেন দলটির নেতারা।
আরও পড়ুন
প্রথম আলো
‘তেল চুরি’, ব্রাজিল বাড়ি ও তাঁদের আয়েশি জীবন
ব্রাজিল বাড়ির কথা মনে আছে? নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ছয়তলা এই বাড়ির পুরোটাই আঁকা ব্রাজিলের পতাকা। ফলকে লেখা নাম ‘ব্রাজিল বাড়ি’। ২০১৮ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ চলার সময় বাড়িটিতে গিয়েছিলেন ঢাকায় ব্রাজিলের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা ডি অলিভেরিয়া জুনিয়র।
আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম বন্দরে এন্ট্রি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ট্রাক-ট্রেইলার প্রবেশ বন্ধ
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) পক্ষ থেকে ভারী যানবাহনের প্রবেশ ফি চার গুণেরও বেশি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সব ধরনের কনটেইনার ও পণ্যবাহী যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন অপারেটররা। আজ শনিবার সকাল থেকে বন্দর এলাকায় ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
প্রথম আলো
পূর্বাচলে বসছে ৪ থানা, ৬ ফাঁড়ি ও ৪১টি পুলিশ বক্স
পূর্বাচল নতুন শহরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপি পূর্বাচল শহরের জন্য ৪টি থানা, ৬টি ফাঁড়ি ও ৪১টি পুলিশ বক্স চালু করতে জনবল চেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সেই প্রস্তাব যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
আজকের পত্রিকা
ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ৭৩% সাত হাসপাতালে
দেশে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চলতি বছর চিকিৎসাধীন যত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের (৭৩ শতাংশ) বেশির মৃত্যু হয়েছে সরকারি সাত হাসপাতালে। আর তাদের বেশির ভাগই ভর্তি হওয়ার এক দিনের মধ্যেই মারা গেছে।
প্রথম আলো
মাংস খেতেও শিকার হচ্ছে হাতি, প্রমাণ মিলেছে সাঙ্গু-মাতামুহুরী বনে
দাঁতের জন্য হাতি শিকারের পাশাপাশি দেশে মাংসের জন্যও যে প্রাণীটি শিকার করা হচ্ছে, এই প্রথম তার প্রমাণ পেয়েছেন একদল গবেষক।
মিয়ানমারের সীমান্তসংলগ্ন পার্বত্য অঞ্চলের সাঙ্গু-মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনে মাংসের জন্য হাতি শিকার করার একটি স্থানের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। এই বনেই রয়েছে ‘সাঙ্গু বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য’।
এ বছরের এপ্রিলে এই বনে গবেষণা পরিচালনা করে চার সদস্যের দলটি। তাদের প্রতিবেদন ১৬ অক্টোবর কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
বণিক বার্তা
পায়রার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দৈনিক ক্ষতি ৫ কোটি টাকা
দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে নতুন সংযোজন হিসেবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পায়রা নদীর তীরে প্রস্তুত করা হয়েছে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। অবকাঠামোগত সব কাজ শেষ হলেও পর্যাপ্ত কয়লা সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনের জটিলতার কারণে দফায় দফায় পিছিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদন (সিওডি) শুরুর তারিখ। এদিকে কেন্দ্রটি সচল রাখার জন্য পরিচালন ব্যয়, বিদেশী ও স্থানীয় পরামর্শক ফি, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত, প্রশাসনিক খাতসহ বিভিন্ন ব্যয়ে প্রতি মাসে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১২ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৪৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার বেশি। দৈনিক হিসাবে যার পরিমাণ দাঁড়ায় কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা। আর্থিক এ ক্ষতির বিষয়টি মূল্যায়ন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) এরই মধ্যে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল-নরিনকো পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড (আরএনপিএল)।
দেশ রূপান্তর
আইনশৃঙ্খলার অবনতি উদ্বেগজনক
অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকাসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পর এর উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই, বরং দিনে দিনে তা আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি প্রভৃতি অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। অভিযানে গিয়ে পুলিশ হামলার শিকার হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই পরিস্থিতি তপ্ত হচ্ছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীরা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকরাও চিন্তিত। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে, রাজনৈতিক অঙ্গনে ও জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে। পুলিশ সদর দপ্তরে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। গত সপ্তাহে আইজিপির নেতৃত্বে ঊর্ধ্বতনরা বিশেষ বৈঠক করেছেন। ওই সভায় কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বণিক বার্তা
অবৈধ পথে পাঁচ বছরে ইউরোপে গেছেন ৯৮ হাজার বাংলাদেশী
মাদারীপুরের বাসিন্দা সাইদুর স্থল ও সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে গ্রিসে গেছেন এক বছর আগে। এখন সে দেশেই আছেন। প্রথমে ওমান, পরে সেখান থেকে ইরান, তুরস্ক হয়ে স্থলপথে গ্রিসে পৌঁছেন তিনি। ওমান থেকে ইরানে যাওয়ার জন্য ছোট ট্রলারে ওঠেন। ৪ ঘণ্টায় ইরানে পৌঁছার কথা থাকলেও পাঁচদিন পাঁচ রাত সাগরের মাঝে ভেসে থাকতে হয়েছে তাকে। ইরানের বন্দর আব্বাসে যাওয়ার পর মোটরসাইকেলে ও হেঁটে, জঙ্গলে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করে তুরস্কে পৌঁছেন তিনি। তুরস্ক থেকে গ্রিসে প্রবেশের সময় ঝুঁকিপূর্ণ একটি সীমান্ত পার হতে হয় তাকে। তিনদিন ওই সীমান্তের কাছাকাছি জঙ্গলে থেকে সুযোগ বুঝে গ্রিসে ঢুকে পড়েন। দীর্ঘ এ যাত্রাপথে ১৭-১৮ দিন শুধু পানি পান করেছেন। কখনো এক বোতল পানি চারজন ও একটা শুকনা রুটি তিনজনে ভাগ করে খেয়েছেন। দালালরা শুধু তুরস্ক থেকে গ্রিসে ঢোকার জন্য সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়েছেন সাইদুরের কাছ থেকে। এ যাত্রায় বাংলাদেশ থেকে গ্রিসে পৌঁছতে তার খরচ হয়েছে ২০ লাখ টাকার বেশি।
যুগান্তর
অসংগঠিত নেতাকর্মী দায়সারা প্রচারণা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)-এর ২৩টি পদের মধ্যে ভিপি-এজিএসসহ ২০টিতে জয় পেয়েছে শিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট। হলগুলোতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে। রাকসুর একটি মাত্র পদ ছাড়া আর কেউ বিজয়ী হতে পারেনি। ভোটের হিসাবে তাদের প্রাপ্তিও হতাশাজনক। মূলত চারটি প্রধান কারণেই প্যানেলটির এমন ভরাডুবি হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এগুলো হচ্ছে-অসংগঠিত নেতাকর্মী ও দায়সারা প্রচারণা, ক্যাম্পাসের বাইরে নেতাদের বসবাস, ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতি এবং তফশিলের পর রাবি কমিটি গঠন। এসব কারণে ছাত্রদলের প্রতি শিক্ষার্থীদের আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে শিবিরের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কৌশল, সুসংগঠিত প্রচারণা ও বিশাল কর্মীবাহিনী, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ, পরোক্ষভাবে প্রশাসনিক আনুকূল্য এবং শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তি তাদের ভূমিধস বিজয় এনে দিয়েছে। রাকসুতে জিততে নগরী ছাড়াও আশপাশের জেলাগুলো থেকে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের রাজশাহীতে এনে ক্যাম্পাসের বাইরের মেসগুলোতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে।
সমকাল
অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানিতে হতাশা কাটছে না
নির্দিষ্ট পণ্য ও বাজারে ভর করে চলছে দেশের রপ্তানি খাত। কোনো দাওয়াইয়ে যেন এ বালাই ঘুচছে না। প্রচলিত বাজারনির্ভরতা দিন দিনই বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে নির্দিষ্ট বাজার নির্ভরতা আরও কিছুটা বেড়েছে। বিপরীতে কমছে নতুন বাজারের হিস্যা। নির্দিষ্ট পণ্য ও বাজারনির্ভরতার কারণে বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য। নির্দিষ্ট এসব দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন, যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে রপ্তানি বন্ধ কিংবা ব্যাপক ধসের আশঙ্কা থাকে। অতিমারি করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এর বড় উদাহরণ। ওই দুই ঘটনায় ইউরোপ, আমেরিকা ও রাশিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি ব্যাপক হারে কমে যায়।