সংগৃহীত ছবি

মেট্রোরেল পিলারের বিয়ারিং প্যাড খসে পড়ে প্রাণ হারান আবুল কালাম। এই আঘাত সইতে না পেরে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন নিহতের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া।

আবুল কালামের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়েছে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের পরিবেশ।

এ সময় এক ছেলেকে কোলে নিয়ে তিনি বারবার বলছিলেন, আজকে (কালামকে) আমি বিদায় দিতে চাইনি। দরজা লাগাতেও যাইনি। আমার বাচ্চাদের কী হবে?

পরে নিহতের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেলেও সেখানে তাকে অঝরে আমার কলিজা বলে কাঁদতে দেখা যায়।

এদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় মেট্রো লাইন ও পিলার মধ্যবর্তী একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালামের মৃত্যু হয়। তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঈশ্বরকাঠি এলাকার জলিল চোকদারের ছেলে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায় মনোয়ার ভিলায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

এমআরটি লাইন-৬ এর দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সকালের দিকে যারা এই পথে ট্রেন চালিয়েছেন তারা জানিয়েছেন, এখান দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেন হাল্কা ঝাঁকি দিচ্ছিল। কিন্তু একটি ট্রেনের চালক জানিয়েছেন, ট্রেন অনেকটা ডেবে যাচ্ছিল। মূলত তখনই এই ঘটনা ঘটতে পারে।

পথচারী মারা যাওয়ার ঘটনায় তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন জানান, ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনের নিচে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনের ফুটপাত দিয়ে এক পথচারী হেঁটে যাচ্ছিলেন। এমন সময় বেয়ারিং প্যাড তার মাথার ওপরে পড়লে তিনি স্পট ডেড হন।

এর আগে ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো ফার্মগেট স্টেশনের পর ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের সামনের একটি পিলারের ওপরে থাকা ভায়াডাক্টের চারটি স্প্রিং থেকে একটি স্প্রিং সড়ে যায়। ফলে সেখানে রুট অ্যালাইনমেন্ট উঁচু-নিচু হয়ে যাওয়া তখনও ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

এমএইচএন/এমএন