মেট্রোরেলের ‘অবহেলা নাকি ভাগ্যের দোষ’, কেন অপমৃত্যু মামলা?
ইনফোগ্রাফিক্স / ঢাকা পোস্ট
ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মেট্রোরেলের একটি পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড (বা স্প্যান বিয়ারিং) পড়ে পথচারী আবুল কালাম (৩৫) নিহত হন। এই একটি বস্তুর আঘাতে শুধু একটি প্রাণই ঝরল না, এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলার চিত্রও আবার সামনে এলো। মাত্র ১৩ মাস আগেই এই একই স্টেশনের কাছে অন্য একটি পিলার থেকে একইভাবে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল, তবে সে সময় নিচে কোনো মানুষ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু, কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে এবার আর রক্ষা হলো না।
তবে, এত বড় মর্মান্তিক এবং অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের কোনো ব্যবস্থা না করে এটিকে অপমৃত্যু হিসেবে দেখিয়ে মামলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাধারণত সড়ক বা রেল দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে পুলিশ ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে মামলা করে। অথচ, আবুল কালামের এই মৃত্যুকেও অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করে মামলা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা।
বিজ্ঞাপন
সুষ্ঠু তদন্তের ব্যবস্থা না করে ঘটনাটিকে অপমৃত্যু দেখিয়ে মামলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাধারণত সড়ক বা রেল দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে ‘অপমৃত্যু’ মামলা হয়। অথচ, আবুল কালামের এই মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করে মামলা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট অবহেলা ও গাফিলতির ফল। তারপরও এখানে কীভাবে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ধরনের মামলা দায়েরের ফলে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা আরও বেড়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
ওসি স্যারের নির্দেশে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে : পুলিশ
পুলিশ বলছে, অপমৃত্যুর এই মামলাটি দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী আইরিন আক্তার। এক্ষেত্রে তাদের বেশি কিছু করার নেই। তবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ যদি এই বিষয়ে কোনো তদন্ত করে, তবে পুলিশ তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ দাবি করেছে, গতকাল ২৬ অক্টোবর রাতে নিহতের স্ত্রী স্বেচ্ছায় এই মামলা করেছেন। যদিও তেজগাঁও থানা পুলিশের এই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট অবহেলা ও গাফিলতির ফল এই মৃত্যু। তারপরও এখানে কীভাবে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ধরনের মামলা দায়েরের ফলে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা আরও বেড়ে যেতে পারে
তবে, এই মৃত্যুতে আদৌ কারও অবহেলা আছে কিনা, সে বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখার জন্য এখনো কোনো কার্যক্রম শুরু করেনি পুলিশ। এমনকি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো যোগাযোগও হয়নি পুলিশের।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আসিফ মাহমুদ গালিব বলেন, ‘একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। দেখি, আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলব। তবে অবশ্যই এ বিষয়টি দেখা হবে, কিন্তু মৃতের পরিবার তো অপমৃত্যু মামলা করেছে।’
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইখতিয়ার হোসেন বলেন, ‘অবহেলাজনিত বিষয়টি আমরা এখনো পাইনি। প্রাথমিকভাবে ওসি স্যারের নির্দেশে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় যে যে বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করা দরকার, তা করব। আর অবহেলাজনিত বিষয়গুলো তদন্ত করার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তাদের তদন্ত করতে গিয়ে যদি আমাদের কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হয়, তাহলে সহযোগিতা করব। আর আমাদের তদন্ত করতে গিয়ে যদি তাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হয়, তখন আমরা কথা বলব।’
আবুল কালামের মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
মেট্রোরেলের দায়িত্বশীল সূত্র ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছে, রেল লাইন বা ট্র্যাক, স্লিপার, ব্যালাস্ট, বিয়ারিং প্যাড, ফাস্টেনার, ক্লিপ ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পার্মানেন্ট-ওয়ে ও সিভিল বিভাগের। সিডিউল (তালিকা) করে এগুলো মেইনটেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা। সাধারণত বিয়ারিং প্যাডের থিকনেস বা পুরুত্ব যদি ৬ শতাংশ কমে যায়, তখনই সেটা পরিবর্তন করা হয়। এটি বছরে একবার পরিদর্শন (ইনস্পেকশন) করা হয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে পরিদর্শন করা হয়েছিল। এ বছরের ডিসেম্বরে এটি ফের পরিদর্শনের কথা আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিয়ারিং প্যাড শুরুতে লাগানোর পর আর পরিবর্তন করা হয়নি। সিভিল অ্যান্ড স্ট্রাকচার ডিপার্টমেন্ট তারা নিয়মিত ভিত্তিতে চেক করে বলে আমি জানি। এখানে আমি তাদের পুরোপুরি দোষ দিতে পারছি না।’
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা একটি অন্যায় ও অবিচার (ইনজাস্টিস)। এর ফলে এ ধরনের অবহেলার ঘটনা আরও বেড়ে যাবে এবং এর কোনো প্রতিকার পাওয়া যাবে না বলে মনে করছেন তারা।
মূল ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এই মামলা : ড. ওমর ফারুক
নিরাপত্তা ও অপরাধ বিশ্লেষক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এ ধরনের মামলা খুবই অন্যায় এবং অবিচার (ইনজাস্টিস)। অপমৃত্যুর মামলা কোনোভাবেই হতে পারে না। এমন সুনির্দিষ্ট ঘটনায় যদি সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া এ ধরনের অপমৃত্যুর মামলা হয় এবং সরকার যদি নিজেই এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা কখনোই হতে পারে না। মামলাটি আসলে হওয়া উচিত মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আর এই মামলার আসামি করা উচিত নির্দিষ্ট প্রকৌশলীকে এবং এই বিষয়ে যারা তদারকি করেছেন, তাদেরকে। এই অপমৃত্যুর মামলা আসলে একটা দায়সারা মামলা, এর কোনো কার্যকারিতা নেই। এটার মূলত কোনো তদন্তই হবে না এবং এসব মামলার কারণে এই ধরনের ঘটনা আরও বেড়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত এই মামলার কোনো মেরিটই থাকবে না এবং তদন্ত কখনো আলোর মুখ দেখবে না।’
ড. ফারুক আরও বলেন, ‘মূল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এই মামলাটা করা হয়েছে। অথচ, এখানে সুনির্দিষ্ট একটি কর্তৃপক্ষ এবং সুনির্দিষ্ট পক্ষ আছে যারা এই কাজটি করেছে এবং সবাই আইডেন্টিফায়েড (শনাক্তযোগ্য)। আইডেন্টিফায়েড বিষয়ে তো এ ধরনের মামলা হতে পারে না। এখানে দুর্ঘটনা হয়েছে, এ ঘটনার দায়ভার কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।’
‘আমার গাড়ি যদি দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তিকে মেরে ফেলে, তাহলে কি সেটা অপমৃত্যুর মামলা হবে? মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এখানে তো সুনির্দিষ্টভাবে দায়ী। তাই এই ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই’, যোগ করেন এ অপরাধ বিশেষজ্ঞ।
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কেন, নকশা পুনর্মূল্যায়নের দাবি
ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের লাইন থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে যাওয়ার ঘটনা এবার প্রথম নয়। ১৩ মাস আগেও একই এলাকায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তবে, তখন কোনো প্রাণহানি না ঘটলেও এবার আবুল কালাম (৩৫) নিহত হন। তাই অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন— যেহেতু একই এলাকায় আগেও একটি ঘটনা ঘটেছে, তারপরও কেন কর্তৃপক্ষ সঠিক ব্যবস্থা নেয়নি। তারা যদি যথাযথ ব্যবস্থা নিত, তাহলে তো এই প্রাণহানি ঘটত না।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রবাবিলিটি ইজ দ্যাট (সম্ভাবনা হচ্ছে) যে হয়তো যখন গাড়িতে জার্কিং (ঝাঁকুনি) ছিল, তখন হয়তো এটা পড়তে পারে। হয়তো স্লিপ করে এই সাইডে আসতে পারে। পরে বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে গেছে। এটা পৃথিবীর সব দেশেই আছে, এভাবেই আছে। যারা কন্ট্রাক্টর ছিল, তাদের ইনভেস্টিগেশন আমি দেখছি। আগেও এ রকম একটি ঘটনা হয়েছে। তখন আমাদের স্টেপ (পদক্ষেপ) নেওয়া হয়েছে, স্টেপ কার্যকরীও হয়েছে। এখন দেখতে হবে যে এটা কার্যকরী হওয়ার পরও কেন আবার পড়ল।
তিনি আরও বলেন, ঘটনা বিশ্লেষণ করে আমরা বাইরে থেকে এক্সপার্ট (বিশেষজ্ঞ) আনার ব্যবস্থা করছি। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কোনোদিন কারও মৃত্যু চায় না।
তবে, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কোনো টেকনিক্যাল ফল্ট (কারিগরি ত্রুটি) নয়। এটি আসলে নকশার ফল্ট (ত্রুটি)। এখানে নকশাগত ত্রুটি রয়েছে, দ্রুত নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটি দিয়ে নকশা পুনর্মূল্যায়ন করা জরুরি।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার ঘটনা নকশাগত ত্রুটির ফল হতে পারে। ঢাকা মেট্রোরেলকে ‘হাইস্পিড করিডর’ ঘোষণা দেওয়া হলেও কার্ভ বা বাঁক অংশে নকশাগত সীমাবদ্ধতার কারণে ট্রেনের গতি ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় নামিয়ে আনতে হচ্ছে। এতে প্রকল্পের ‘হাইস্পিড করিডর’ মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে।
এ ধরনের মামলা খুবই অন্যায় এবং অবিচার (ইনজাস্টিস)। অপমৃত্যুর মামলা কোনোভাবে হতে পারে না। এমন সুনির্দিষ্ট ঘটনায় যদি সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া অপমৃত্যুর মামলা হয় এবং সরকার যদি নিজে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?
নিরাপত্তা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক
তিনি বলেন, ভায়াডাক্ট ও পিলারের মাঝে ব্যবহৃত ইলাস্টোমেরিক রাবার প্যাডগুলোর জন্য সঠিক ‘গাইডিং মেকানিজম’ নেই। ফলে এগুলো সময়ের সঙ্গে স্থানচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি করছে। এই নকশা জাপানি হলেও ঢাকার জটিল ভৌগোলিক গঠন ও কার্ভযুক্ত সেকশনগুলো এতে যথাযথভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এজন্য পুরো করিডর পুনরায় অডিট করে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটি দিয়ে নকশা পুনর্মূল্যায়ন করা জরুরি।
হাদিউজ্জামান বলেন, শুধু কার্ভ নয়, সোজা অংশগুলোও ঝুঁকিমুক্ত কি না তা যাচাই করা জরুরি। প্রয়োজনে প্রতিটি বিয়ারিং প্যাডের চারপাশে সুরক্ষা রেলিং বা স্ক্রু–ফিক্সিং ব্যবস্থা করা উচিত। নকশাগত ঘাটতি সংশোধন না করলে এমন দুর্ঘটনা পুনরায় ঘটতে পারে, যা প্রকল্পের নিরাপত্তা ও আস্থা উভয়কেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
মেট্রোরেল ও সব ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের মান নির্ণয়ে হাইকোর্টে রিট
মেট্রোরেল ও সব ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের গুণগত মান নির্ণয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে মেট্রোরেল ও সব ফ্লাইওভারে ব্যবহার করা বিয়ারিং প্যাডের গুণগত মান ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করতে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
এদিকে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ায় নিহত আবুল কালামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ (সোমবার) সকাল ১০টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এমএসি/এমএইচএন/এমজে