মিরপুরের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান। তিন মাস আগে নিজেরসহ টিকার জন্য পরিবারের অন্য তিন সদস্যের রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। এরপর থেকে শুরু হয় এসএমএসের অপেক্ষা। রোববার (২০ জুন) রাতে এসএমএস পেয়ে আজ ফাইজারের টিকা নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এসেছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে।

আব্দুল হান্নান বলেন, ‘বাবা-মা, স্ত্রী ও নিজের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা ছিল। গতকাল রাতে এসএমএস পেয়ে সবাইকে নিয়ে টিকা নিতে এসেছি। টিকার নেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, টিকা নিয়ে খারাপ লাগছে না।’

হান্নানের বাবা ৬৫ বছর বয়সী মোকাব্বির হোসেন জানান, টিকা নেওয়ার পর কোনো ধরনের অসুস্থতা লাগছে না।

সোমবার (২১ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর তিনটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। সকাল পৌনে ১০টায় বিএসএমএমইউ’র কনভেনশন সেন্টারে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বিএসএমএমইউ’তে ফাইজারের প্রথম টিকা নিয়েছেন ব্যবসায়ী রাহাত চৌধুরী মুন্না (৪৬)। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, ‘টিকার জন্য এপ্রিলে নিবন্ধন করেছি। এতদিন টিকার অপেক্ষায় ছিলাম। আজ টিকা নিলাম। টিকা নেওয়ার সময় কোনো ব্যথা অনুভব করিনি। কিছু সময় বিশ্রাম করেছি, খারাপ লাগছে না।’

টিকা নেওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, টিকা পেয়ে সবাই খুশি। তবে কিছু প্রবাসী কর্মী এই কেন্দ্রে টিকা নিতে এসে ফিরে গেছেন। নিজাম নামে এক সৌদি প্রবাসী বলেন, ‘একজন বলল, এখানে আজ থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে সেজন্য আসলাম। এসে শুনি এখানে প্রবাসীদের টিকা দেওয়া হয় না।’

এই কেন্দ্রে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, ‘দেশে এখন একসঙ্গে তিন ধরনের টিকার প্রয়োগ চলছে। ফাইজারের টিকা শুধু ঢাকাতেই দেওয়া হচ্ছে। কারণ এই টিকা অতি শীতল তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।’

আগস্টের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গা থেকে টিকা আসতে শুরু করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে রাজধানীর তিন হাসপাতালে এই টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আজ টিকা পাচ্ছেন ৩৬০ জন।

এনআই/এমএইচএস