‘গণশুনানির মাধ্যমে নাগরিক ও সরকারের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়’
জালালাবাদ গ্যাস টিঅ্যান্ডডি সিস্টেম লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিকুর রহমান বলেছেন, গণশুনানি মূলত সরকারি কার্যক্রমে জনগণের মতামত গ্রহণের একটি কার্যকর পদ্ধতি। এর মাধ্যমে কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং নাগরিক ও সরকারের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) জালালাবাদ গ্যাস অফিসে জেজিটিডিএসএল-এর গ্রাহকদের সেবার মান উন্নয়ন এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত গণশুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সরকারি অফিসকে জনবান্ধব ও গতিশীল করার বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে, যার মধ্যে গণশুনানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। জালালাবাদ গ্যাস সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে নিয়মিতভাবে গণশুনানির আয়োজন করে আসছে, যাতে গ্রাহকদের মতামত সরাসরি শোনা যায়।
তিনি আরো বলেন, গ্যাস শুধু একটি জ্বালানি নয়, এটি আমাদের ঘরের আলো, রান্নার চুলা এবং শিল্পের উৎপাদন শক্তি। এই জাতীয় সম্পদ যেন নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবহৃত হয়, সেটি আমাদের সবার দায়িত্ব। গ্যাস অপচয় বা চুরি হলে ক্ষতি শুধু সরকারের নয়, বরং প্রতিটি নাগরিকের। এক ইউনিট গ্যাসের অপচয় মানে অন্য একটি পরিবারের অধিকার বঞ্চিত হওয়া।
বিজ্ঞাপন
আতিকুর রহমান বলেন, আমরা চাই জালালাবাদ গ্যাস অফিস হোক জনগণের অফিস, যেখানে অভিযোগ শুনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, প্রতিটি গ্রাহক নিজেকে মূল্যবান মনে করেন। আমরা স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সেবার মান উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক এবং এই সম্পদের যৌথ মালিক। গ্যাস খাতকে টেকসই, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ রাখতে হলে সরকার, প্রশাসন ও জনগণ, এই তিন পক্ষকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার উপ-মহাব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স) এম নাসিমুল আলীম, পেট্রোবাংলার প্রতিনিধি (পরিকল্পনা, কৌশল ও রিসোর্সেস মবিলাইজেশন) প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ সাহা, প্রকৌশলী মোহাম্মদ সারোয়ার জাহান মাহমুদ, মহাব্যববস্থাপক প্রকৌশলী লিটন কাজী প্রমুখ।
ওএফএ/জেডএস