স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রস্ফুটিত

পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ এগিয়েছে ৯১ শতাংশ। ২০২১ সালে সেতুর কাজ শেষ করতে সচেষ্ট আছে বাংলাদেশ সেতু বিভাগ। তবে দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচলের জন্য টোল দিতে হবে। এই টোল নির্ধারণের জন্য এখন তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সহনীয় পর্যায়ে টোল নির্ধারণ করা হবে। দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ‘ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা’র টোল নির্ধারণের জন্য ১৫ সদস্যের কমিটি কাজ করছে। এ কমিটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে টোল হার নির্ধারণ চূড়ান্ত করার চেষ্টা করবে। এ কমিটির কাজ শুরুর পর সেতু বিভাগও পদ্মা সেতুর টোলহার চূড়ান্ত করতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন।

পদ্মা সেতু দেখতে ভিড়

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান. এখনো টোলের হার চূড়ান্ত  করা হয়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সেতু বিভাগ প্রাথমিক টোলের হার এরই মধ্যে নির্ধারণ করেছে। গাড়ি চলাচলের পূর্বাভাস ধরে তা নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশ সেতু বিভাগ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে দেখেছে, ২০২১ সালে পদ্মা সেতু দিয়ে দৈনিক প্রায় ৮ হাজার গাড়ি চলবে। ৩৫ বছর পর গাড়ি চলাচল করবে ৭১ হাজারের বেশি।

কত টাকা দিতে হবে টোল?
বাংলাদেশ সেতু বিভাগের তৈরি করা প্রাথমিক টোল প্রস্তাবপত্র থেকে জানা গেছে, পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করলে মোটরসাইকেলে টোল দিতে হবে ১০৫ টাকা। ব্যক্তিগত গাড়ি, জিপ ও মাইক্রোবাসে টোল ধরা হয়েছে এক হাজার ৫০ টাকা। মিনিবাসে তা ধরা হয়েছে দুই হাজার ২৫ টাকা, বাসে তা প্রস্তাব করা হয়েছে দুই হাজার ৩৭০ টাকা। ছোট ট্রাকে টোল প্রস্তাব করা হয়েছে এক হাজার ৬২০ টাকা। এছাড়া মাঝারি ট্রাকে দুই হাজার ১০০ টাকা, বড় ট্রাকে দুই হাজার ৭৭৫ টাকা টোল প্রস্তাব করা হয়েছে। চার এক্সেলের ট্রেইলারে ৪ হাজার টাকা ও চার এক্সেলের বেশি হলে পরবর্তী প্রতি এক্সেলের জন্য দেড় হাজার টাকা করে বাড়তি টোল দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সেতু বিভাগ। 

২০২১ সালে সেতুর কাজ শেষ হবে

পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের ব্যয় সরকারের ঋণ হিসেবে দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই ঋণ সুদসহ ৩৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সেতু বিভাগকে শোধ করতে হবে। বাংলাদেশ সেতু বিভাগকে সুদসহ মোট পরিশোধ করতে হবে ৩৬ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। এজন্য গত বছরের ২৯ আগষ্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি হয়। তারপর বাংলাদেশ সেতু বিভাগ প্রাথমিক টোল হারের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয় ও সড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রণালয়ে।

পিএসডি/এইচকে