পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ এক অপ্রতিরোধ্য উদীয়মান পরাশক্তি। 

বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ হবে বিশ্ব অর্থনীতির বৃহত্তম ২৫টি দেশের মধ্যে একটি। আমাদের এখন কেউ আর তলাবিহীন ঝুড়ি বলতে পারে না। আমরা ভালো করছি। আমরা এখন আর কারও মুখাপেক্ষী নই। আমাদের এখন আর বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব অত্যন্ত বলিষ্ঠ। তার নেতৃত্বে দেশে কয়েক বছরে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব। আমরা একটি উন্নত ও স্থিতিশীল দেশ গড়ে তুলতে চাই।’

বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে বিভিন্ন খাতে এগিয়ে গেলেও কিছু ক্ষেত্রে এখনও সমাধান আসেনি। এসব ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসবে জানিয়ে মোমেন বলেন, আমরা অনেক এগিয়েছি। আমাদের প্রত্যাশা আমরা ইউনিক দেশ হিসেবে যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধান করব।  

দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে যে দলেরই হোক সবাইকে বলল, বাংলাদেশের উন্নয়ন হলে আপনারও সম্মান বাড়বে। 

করোনা মহামারি মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধির বিষয়টি ভিডিওবার্তায় তুলে ধরেন মোমেন। তিনি বলেন, কোভিডের মধ্যেও আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫.২৪ ভাগ বেড়েছে, যেটা এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। 

২০০৮ সালের আগের প্রেক্ষাপট টেনে মোমেন বলেন, ‘২০০৮ সালের আগে ঘরে ঘরে হাহাকার ছিল। বিদ্যুৎ পাওয়া যেত না, আর যদি আসত লোড শেডিংয়ের জ্বালায় মানুষ বিরক্ত হয়ে যেত। আগে বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২০০ মেগা ওয়াট। গত দশ বছরে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার মেগাওয়াট। আমরা আশা করছি, এই ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।’

এ সময় তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘শিক্ষা খাতে গত বাজেটে প্রায় আশি হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় আট ভাগ বাজেট বেড়েছে। শুধু যে বাজেট বেড়েছে তা নয়, এখন শিক্ষার্থীরা ডিজিটালভাবে পুরো বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করার সুফল। কোভিডের কারণে ক্লাস বন্ধ থাকলেও গ্রামেগঞ্জে ডিজিটাল মাধ্যমে ঘরে বসে পড়াশোনা করছে।’

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিজয়ের মাসে আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। খুব দ্রুতই এটা চালু হবে। দেশের জিডিপি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ভিডিও বার্তায় প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’

এনআই/এইচকে