জুলাই মঞ্চের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেছেন, এনজিওকর্মী দিয়ে সরকার চলে না, সরকার চালাতে রাজনীতিবিদ লাগে। উপদেষ্টারা কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আমলা চক্র তা ঘুরিয়ে দেয়।

রোববার (২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযুক্ত ৪৪ জন সচিব এবং ৯৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটের গ্রেপ্তারপূর্বক বিচার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফ্যাসিস্ট আমলা চক্রের সদস্যদের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে জুলাই মঞ্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা যে ৪৪ জন সচিবের তালিকা দিয়েছিলাম, তা থেকে মাত্র পাঁচজনকে অপসারণ করা হয়েছে। বাকি ৩৯ জনসহ ফ্যাসিবাদী আমলাদের অপসারণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশে আমরা নির্বাচন হতে দেব না। আমরা বিশ্বাস করি, এই আমলারা আগামী নির্বাচনটাও দিল্লির হয়ে করে দেবে।

বাংলাদেশে এখনো ৯০ শতাংশ আমলা হাসিনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সচিবালয়ে আমরা যখন ফ্যাসিবাদী আমলাদের বিষয়গুলো তুলে ধরেছি, তখন একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাই আমাকে বলেছেন যে, তারা অসহায়। তিনি স্বীকার করেছেন যে, প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মকর্তাই এখনও শেখ হাসিনার সমর্থক এবং আওয়ামী লীগের লোক। তারা ৯০ জন ঐক্যবদ্ধ, আর আমরা ১০ জন বিভিন্নভাবে বিভক্ত। এভাবে আমরা তাদের সঙ্গে কীভাবে পারবো?

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের ‘অভিজ্ঞতাহীন’ ও ‘অসহায়’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, উপদেষ্টারা অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। এনজিওকর্মী দিয়ে সরকার চলে না, সরকার চালাতে রাজনীতিবিদ লাগে। উপদেষ্টারা কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আমলা চক্র তা ঘুরিয়ে দেয়। 

খুনি হাসিনাকে সেফ এক্সিট দেওয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, যখন জাতিসংঘ থেকে বলা হলো যে, ছাত্রদের আন্দোলন দমন করলে শান্তি মিশন নিয়ে চিন্তা করা হবে, তখন তারা দেখলো যে, শেখ হাসিনাকে আর রাখা সম্ভব না। তাই একটি ‘সেফ এক্সিট’ দরকার ছিল। সেই সেফ এক্সিট করার মাধ্যমে ক্ষমতাটা মূলত শেখ হাসিনার হাতেই রাখতে হবে। এজন্য দরকার ছিল একটা অথর্ব উপদেষ্টা পরিষদ, যা করতে তারা শতভাগ সফল হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে পতিত শেখ হাসিনার ও আধিপত্যবাদীদের নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাসিবুল ইসলাম তন্ময়, তাহসান ইসলাম, রাব্বি তালুকদার ও ওয়ালিদ বিন তালুকদার প্রমুখ। 

ওএফএ/জেডএস