তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য আইডিয়া প্রকল্পের কো-ওয়ার্কিং স্পেসে নতুন সুযোগ
বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনী স্টার্টআপদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে আইসিটি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া)’ প্রকল্প। আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আধুনিক কো-ওয়ার্কিং স্পেসে যোগ্য ও সম্ভাবনাময় স্টার্টআপদের জন্য বিনামূল্যে অফিস সুবিধা, উচ্চগতির ইন্টারনেট, নেটওয়ার্কিং ও প্রশিক্ষণসহ নানা সুযোগের ব্যবস্থা করেছে প্রকল্পটি।
রোববার (২ নভেম্বর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও তরুণ উদ্যোক্তাদের বিকাশ ত্বরান্বিত করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) পরিচালিত ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া)’ প্রকল্পের কো-ওয়ার্কিং স্পেস ব্যবস্থাপনায় নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব অনিয়মিত স্টার্টআপদের বরাদ্দ বাতিলের পাশাপাশি নতুন ও যোগ্য স্টার্টআপদের জন্য এই আধুনিক কো-ওয়ার্কিং স্পেস ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সরকারি সম্পদের সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও কার্যকর ব্যবহারের ওপরও জোর দেন।
আইডিয়া প্রকল্প সম্পর্কে জানানো হয়েছে, নতুন কো-ওয়ার্কিং স্পেস নীতিমালা বাস্তবায়নের পর প্রকল্পটির কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে। এ পর্যন্ত বিশেষ কমিটির ছয়টি সভায় নতুন স্টার্টআপদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মোট ৫১টি ডেস্কের মধ্যে ৩৩টি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, আর বাকি ১৮টি ডেস্কের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া চলমান। যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যেই অব্যবহৃত ডেস্কগুলো বরাদ্দ দেওয়া হবে। এখানে উদ্যোক্তারা পাচ্ছেন ছয় মাস মেয়াদি বিনামূল্যে অফিস স্পেস, উচ্চগতির ইন্টারনেট, মিটিং ও কনফারেন্স রুম, মনিটরিং ও কর্পোরেট নেটওয়ার্কিং সুবিধা, এবং আইডিয়া ল্যাব ব্যবহারের সুযোগ।
বিজ্ঞাপন
তবে পুরো আবেদন ও বরাদ্দ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক। উদ্যোক্তাদের আবেদন করতে হবে আইডিয়া প্রকল্পের ওয়েবসাইট idea.gov.bd-এ। আবেদনকারীদের ট্রেড লাইসেন্স বা বিআইএন কপি, টিআইএন সার্টিফিকেট, প্রতিষ্ঠাতার এনআইডি বা পাসপোর্ট কপি এবং অনুদানপ্রাপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট চুক্তিপত্রের কপি জমা দিতে হবে।
আর শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তি–ভিত্তিক উদ্ভাবনী স্টার্টআপরাই এই কো-ওয়ার্কিং স্পেসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইডিয়া প্রকল্প কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই উদ্যোগ দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা, সহযোগিতা ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসায়িক বিকাশে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলেও প্রত্যাশা জানানো হয়েছে।
আরএইচটি/জেডএস