দোহারে পদ্মানদী থেকে অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত আটক
ঢাকার দোহারের পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে সাত ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। সোমবার (২১ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চরপুরুলিয়ার নদী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আটক হওয়া ডাকাত সদস্যরা হলেন- দোহারের ধিতপুর গ্রামের জাকির হোসেন (২৫), দুবলী গ্রামের কাউছার মোল্লা (২২), মুকসুদপুরের হাসিরচর এলাকার হৃদয় শেখ (১৯), মৌড়া গ্রামের সেলিম (৩০), কেরানীগঞ্জের কলাতিয়ার লিমন হক (২৪), একই গ্রামের মানিক হোসেন ও নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালীর রতনপুরের এবাদুল (৩০)।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে পদ্মা নদীর দোহারের চরপুরুলিয়া এলাকায় মানিকগঞ্জ হরিরামপুর থেকে ভুট্টাবাহী একটি ট্রলার চাঁদপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। ডাকাতদল ট্রলারটিতে হামলা চালায়। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা ডাকাতির কথা নৌ-পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে দোহার কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ডাকাত দলের অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযানে নামে।
পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ৭ ডাকাত সদস্যকে আটক করে নৌ-পুলিশ। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রলার, বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে বিকেলে নৌ-পুলিশের ঢাকা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, নৌ-পুলিশ ঢাকা অঞ্চলের পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম ভূইয়া ও কুতুবপুর ফাঁড়ি পরিদর্শনে আসেন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে নৌ-পুলিশের ঢাকা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদীপথ সন্ত্রাস, ডাকাত ও মাদকমুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ নৌ-পুলিশ। তারই অংশ হিসেবে দোহারে পদ্মা নদী সুরক্ষিত রাখতে কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ৭ ডাকাতকে অস্ত্রসহ আটক করেছে।
এ ঘটনায় দোহার থানায় ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান।
ফারুক আহমেদ/এমএইচএস