হাসপাতালের কোয়ার্টারেই ডাক্তারের ব্যক্তিগত চেম্বার!
হাসপাতালের কোয়ার্টারে ব্যক্তিগত চেম্বার খুলে রোগী দেখেন ডাক্তার। হাসপাতালের বহির্বিভাগে মেলে না রোগীর ওষুধ, নিম্নমানের খাবার ও নোংরা পরিবেশ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছদ্মবেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে মিলেছে এমন সত্যতা।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত পরে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আক্তারুল ইসলাম বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে বহির্বিভাগে আগত রোগীদের যথাযথভাবে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে।
বিজ্ঞাপন
অভিযানে দেখা যায়, রোগীদের জন্য রান্না করা মাংসের ওজন নির্ধারিত ১৮০ গ্রামের স্থলে মাত্র ১২৫ গ্রাম এবং পাউরুটির ওজন ১০০ গ্রামের স্থলে ৫০ গ্রাম পাওয়া যায়; পাউরুটির সঙ্গে নির্ধারিত ৫০ গ্রাম চিনি সরবরাহ করা হয়নি। রান্নাঘরে ডায়েট চার্ট প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনো ডায়েট চার্ট পাওয়া যায়নি। এছাড়াও রান্নাঘর ও বাথরুমের পরিচ্ছন্নতা সন্তোষজনক ছিল না বলে টিমের দৃষ্টিগোচর হয়। হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহারের প্রমাণ মেলে এবং ওয়ার্ডে সরবরাহ করা বেডশিট অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। ডাক্তার নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত ছিলেন না বলে টিমের কাছে পরিলক্ষিত হয়, ফলে রোগীদের দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়।
এছাড়াও একজন ডাক্তারের বিধিবহির্ভূতভাবে হাসপাতালের কোয়ার্টারে ব্যক্তিগত চেম্বার খুলে রোগী দেখার অভিযোগের সত্যতাও অভিযানে পাওয়া যায়। এসব অনিয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয় দুদক টিম। অভিযানে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে টিম কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে দুদক।
আরএম/এসএসএইচ