মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের দশম গ্রেডসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি খাজা মাঈন উদ্দিন মঞ্জু, মহাসচিব বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব।

বক্তারা বলেন, দেশের সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগীর যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রোগ ডায়াগনোসিস কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা সনদধারী মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা আজ চরম অবহেলিত। মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের এখনও দশম গ্রেড দেওয়া হয়নি। অথচ সম-শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন ডিপ্লোমা নার্স, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, ডিপ্লোমা কৃষিবিদসহ প্রায় সব ডিপ্লোমাধারীদের বহু আগেই দশম গ্রেড প্রদান করা হয়েছে। অথচ সবচেয়ে স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা পালন করে থাকেন।

সংগঠনের ১১ দফা দাবি হলো-

১. চাকরির শুরতে ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে হবে।

২. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের নতুন পদ সৃজন, অভিদ্রুত শূন্য পদে নিয়োগ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ক্যারিয়ার প্ল্যান বাস্তবায়ন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০১৩ সনের স্থগিতকৃত নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।

৩. বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদকে ডিপ্লো মেডিকেল এডুকেশন বোর্ডে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

৪. স্বতন্ত্রভাবে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিদপ্তর গঠন করতে হবে/স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের জন্য আলাদা উইং গঠন করতে হবে।

৫. গ্রাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের জন্য নবম গ্রেডের পদ সৃজন এবং সরকারি চাকরিজীবীদের আনুপাতিক হারে পদোন্নতির নিয়ম বহাল রেখে স্ট্যান্ডার্ড সেট-আপ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৬. সব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গরূপে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদ চালু করতে হবে।

৭. ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে, আইএইচটির শিক্ষকদের অসঙ্গতিপূর্ণ বেতন গ্রেড সংস্কার করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের ১০০ ভাগ স্টাইফেন্ড দিতে হবে এবং ইন্টার্ন ভাতা চালু করতে হবে।

৮. (ক) মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কাউন্সিল গঠনপূর্বক পেশাগত রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে। (খ) নিরাপদ খাদ্য আইন খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ফিরিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনতে হবে।

৯. বেসরকারি হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লিনিকে প্রাইভেট সার্ভিস নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে এবং সরকারি বেতন কাঠামো অনুসরণ করে বেতন-ভাতাদি নির্ধারণ করতে হবে।

১০. (ক) উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকারি পর্যায়ে সব বিষয়ে বিএসসি এবং এমএসসি কোর্স চালু করতে হবে, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ডেন্টাল ও ফিজিওথেরাপিদের প্র্যাকটিস রেজিস্ট্রেশন দেওয়া ও অন্যান্যের পেশাগত কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রিপোর্টে স্বাক্ষর দেওয়ার ক্ষমতা দিতে হবে।

(খ) মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ঝুঁকিভাতা দিতে হবে এবং বণ্টন নীতিমালা প্রণয়নপূর্বক বন্ধ ইউজার ফি চালু করতে হবে।

১১. পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

ওএফএ/জেডএস