বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার পরিবর্ধিত সম্পূরক ফল প্রকাশ করেছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্যাডারে মোট ১ হাজার ৬৭৬ জন প্রার্থীকে সাময়িকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে বিএড বা এমএড সনদ না থাকায় প্রভাষক (টিচার্স ট্রেনিং কলেজ) পদের পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আগে নিয়োগপ্রাপ্তদের পুনঃমনোনয়ন এড়াতে এবং শূন্য পদে যোগ্য প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত করতে কমিশন এই সংশোধিত ফল প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীনের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগের দুই বিজ্ঞপ্তির (৩০ জুন ও ৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখের) সম্পূরক ফলের পর্যালোচনায় দেখা যায়, কয়েকজন প্রার্থী ইতোমধ্যে পূর্ববর্তী বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত। ফলে তারা একই ক্যাডার বা নিম্ন পছন্দের পদে পুনরায় মনোনয়নযোগ্য হওয়ায় কমিশন তাদের নাম বাদ দিয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৮ অক্টোবরের এসআরও নং-৪২৯-আইন/২০২৫ অনুযায়ী সংশোধিত বিধি ১৭-এর ক্ষমতাবলে পিএসসি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। নতুন তালিকায় মেধাক্রম অনুসারে সমসংখ্যক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিএড বা এমএড সনদ না থাকায় প্রভাষক (টিচার্স ট্রেনিং কলেজ) ক্যাডারের পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তাদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর— ১১১৪৫০৯৫, ১১০৬৪৮০৬, ১১০৮৮০৯৮, ১১০৭৫৭৩৮ ও ১৩০০৫৮৬৯। এছাড়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৪০১১২১৭–এর প্রার্থীকে ভুলক্রমে টেকনিক্যাল ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল; সংশোধনের মাধ্যমে তাঁকে তাঁর প্রাপ্য নন-ক্যাডার পদে স্থানান্তর করা হয়েছে।

পিএসসি জানিয়েছে, কয়েকটি কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ৩৪টি পদে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হয়নি। মনোনীত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আবেদনপত্রে দেওয়া তথ্য ও সনদের সত্যতা যাচাইয়ের পরই নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত নিয়োগ দেবে।

বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী মিথ্যা তথ্য, জাল সনদ বা প্রতারণার আশ্রয় নিলে তার মনোনয়ন বাতিল হবে এবং প্রয়োজনে ফৌজদারি আইনেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। একইভাবে, মেডিকেল বোর্ডে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এবং প্রাক-নিয়োগ যাচাই সম্পন্ন হলেই নিয়োগ কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হবে।

পিএসসি জানিয়েছে, লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও সব প্রার্থীকে ক্যাডার পদে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হয়নি। যারা ক্যাডারে মনোনীত হননি, তারা সরকারের নিকট থেকে শূন্য পদ পাওয়ার পর নন-ক্যাডার পদের জন্য বিবেচিত হবেন। এ ক্ষেত্রে ‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা, ২০২৩’ অনুসারে ৯ম থেকে ১২তম গ্রেডের পদে মেধাক্রম অনুযায়ী সুপারিশ করা হবে।

এছাড়া, ক্যাডারে মনোনীত হতে পারেননি এমন মোট ৭ হাজার ১৩৯ জন প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বরও কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ফল দেখা যাবে পিএসসির ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd এবং টেলিটকের bpsc.teletalk.com.bd পোর্টালে।

আরএইচটি/এমটিআই