ইনফোগ্রাফিক্স / ঢাকা পোস্ট

দেশে স্মার্টফোনের দাম কমাতে শুল্ক ও ভ্যাট হ্রাসের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। কমিশনের মতে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সহযোগিতায় কর কাঠামো যৌক্তিকভাবে পুনর্বিন্যাস করা হলে স্মার্টফোন সহজলভ্য হবে, দেশীয় উৎপাদন বাড়বে এবং রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ হবে। এনবিআরের টেবিলে ইতোমধ্যে বিটিআরসি’র এ সংক্রান্ত সুপারিশ পৌঁছেছে বলেও জানা গেছে।

এমন উদ্যোগের কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ২০১৮ সাল থেকে ফোর–জি প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছে। কিন্তু প্রযুক্তিগত এই অগ্রগতি সত্ত্বেও দেশের বড় একটি অংশ এখনও এই সুবিধা পুরোপুরি ভোগ করতে পারছে না। কারণ, স্মার্টফোনের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি। অথচ দেশের সব মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো স্মার্টফোন। একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমেই মানুষ অনলাইন শিক্ষা, ই–কমার্স, মোবাইল ব্যাংকিং, সামাজিক যোগাযোগ, টেলিমেডিসিনসহ অসংখ্য সেবা গ্রহণ করতে পারে।

এমন অবস্থায় দেশের টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিটিআরসি মনে করছে, কর কাঠামো যৌক্তিকভাবে হ্রাস ও পুনর্বিন্যাস করা গেলে স্মার্টফোন আরও সুলভ হবে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষও সহজে স্মার্টফোন কিনতে পারবে, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়বে এবং স্থানীয়ভাবে ফোন উৎপাদনকারীদের বিনিয়োগও উৎসাহিত হবে।

শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় স্মার্টফোন পেনিট্রেশন হার বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি। এসব দেশে কর কাঠামো তুলনামূলকভাবে সহজ এবং স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদনে সরকারের নীতিগত প্রণোদনা থাকায় সাধারণ মানুষ সহজেই স্বল্পমূল্যে আধুনিক ফোন ব্যবহার করতে পারে। ফলে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহার, ডিজিটাল লেনদেন ও অনলাইন সেবা গ্রহণের হারও বেশি

অন্যদিকে, সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে দেশে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর হার আনুমানিক ৬৩ শতাংশ। অর্থাৎ, দেশের প্রায় ৩৭ শতাংশ মানুষ ফোর–জি নেটওয়ার্কের আওতায় থেকেও কেবল স্মার্টফোন না থাকার কারণে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে না। এই অংশের মানুষ মূলত সস্তা ফিচার ফোনের ওপর নির্ভরশীল, যা দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সীমিত বা নেই।

অথচ এশিয়া–প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য দেশ যেমন— শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় স্মার্টফোন পেনিট্রেশন হার বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি। এসব দেশে কর কাঠামো তুলনামূলকভাবে সহজ এবং স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদনে সরকারের নীতিগত প্রণোদনা থাকায় সাধারণ মানুষ সহজেই স্বল্পমূল্যে আধুনিক ফোন ব্যবহার করতে পারে। ফলে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহার, ডিজিটাল লেনদেন ও অনলাইন সেবা গ্রহণের হারও বেশি। এর বিপরীতে বাংলাদেশে স্মার্টফোনের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও বিভিন্ন ধরনের করের কারণে বাজারে ফোনের দাম বেড়ে যায়। এতে একদিকে নতুন ব্যবহারকারীর প্রবেশ সীমিত হয়, অন্যদিকে অনানুষ্ঠানিক উপায়ে অবৈধ ফোন আমদানি বাড়ে।

স্মার্টফোনের ৫৮.৬ শতাংশ শুল্ক ভোক্তার কাঁধে

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে আমদানি করা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের ওপর প্রযোজ্য মোট শুল্ক, কর ও ভ্যাটের বোঝা প্রায় ৫৮.৬ শতাংশ। এই উচ্চ করের চাপ সরাসরি ভোক্তাদের ঘাড়ে বর্তায়। ফলে দেশে মোবাইল ফোনের দাম প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। এই উচ্চমূল্য সাধারণ ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে অপেক্ষাকৃত সস্তা কিন্তু অবৈধ ও ক্লোনড মোবাইল ফোনের দিকে, যা একটি নেতিবাচক চক্রের সূত্রপাত করে। বিশেষ করে, অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি ও ব্যবহারের কারণে সরকার প্রতি বছর প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।

এই সংকট মোকাবিলায় চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রি (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে অবৈধ ও ক্লোনড আইএমইআইযুক্ত মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়া বন্ধ হবে এবং বৈধ আমদানি করা ও উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ব্যবহার নিশ্চিত হবে।

এসব দিক বিবেচনায় স্থানীয় শিল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শুল্ক কাঠামো পুনর্বিবেচনারও সুপারিশ করেছে বিটিআরসি। একইসঙ্গে স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে সংস্থাটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে এনবিআর-কে কাঁচামালের শুল্ক হ্রাসের জন্যও প্রস্তাব দিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশনের (বিটিআরসি) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা মনে করছি মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমান উচ্চ শুল্ক হার হ্রাস করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, শুল্ক কমানো হলে বৈধ আমদানি বাড়বে, যা সরকারের রাজস্ব ক্ষতি পূরণে সরাসরি ভূমিকা রাখবে এবং ভোক্তারা আইনসম্মতভাবে যৌক্তিক মূল্যে গুণগত মানের ফোন কিনতে পারবেন।

এনইআইআর চালু হলে অচল হবে লাখ লাখ অবৈধ মোবাইল, কী হবে ব্যবসায়ীদের

আগামী ১৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম চালু হলে দেশের বাজারে থাকা লাখ লাখ অবৈধ ও অননুমোদিত মোবাইল হ্যান্ডসেট সম্পূর্ণ অচল হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় বিপুল পরিমাণ অবিক্রীত ফোন নিয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন রিটেইলার ও আমদানিকারকেরা। তবে, কারিগরি সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ থাকলেও আইএমইআই নিবন্ধনের ক্ষেত্রে শুল্ক নীতির বিষয়টি এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়ে গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিক সংগঠন ও আমদানিকারকদের পক্ষ থেকেও এরইমধ্যে বিটিআরসি’র কাছে এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। তাদের দাবি, কারিগরি সুবিধা কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যে দেশে প্রবেশ করা অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই নম্বর বিটিআরসি’র ডাটাবেজে সংযুক্ত করার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে, এই প্রক্রিয়ায় শুল্ক আদায়ের বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একটি স্পষ্ট নীতিগত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল।

দেশে মোবাইল ফোনের দাম প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় ব্যয়বহুল। এই উচ্চমূল্য সাধারণ ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে অপেক্ষাকৃত সস্তা কিন্তু অবৈধ ও ক্লোনড মোবাইল ফোনের দিকে, যা একটি নেতিবাচক চক্রের সূত্রপাত করে। বিশেষ করে, অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি ও ব্যবহারের কারণে সরকার প্রতি বছর প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে

এমন অবস্থায় দেশের মোবাইল খাতে শুল্ক ও করনীতি বিষয়ে এনবিআরে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিটিআরসি। সংস্থাটির স্পেকট্রাম বিভাগ থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে দেশের মোবাইল হ্যান্ডসেট শিল্পে ভারসাম্য ও স্বচ্ছতা আনতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. ইতোমধ্যে দেশে প্রবেশ করা অননুমোদিত বা অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলোকে বিটিআরসি’র ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্বল্প ও যৌক্তিক সময়সীমা নির্ধারণ করা জরুরি। এ সময়সীমার মধ্যে ব্যবসায়ীরা প্রযোজ্য শুল্ক পরিশোধ করে তাদের পণ্যকে বৈধ করার সুযোগ পাবেন। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত শুল্কহার নির্ধারণে এনবিআরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়েছে।

২. দেশে গড়ে ওঠা মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্পকে প্রণোদনা দিতে এবং বিদেশ থেকে বৈধ আমদানিকে উৎসাহিত করতে শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) হ্রাসের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিটিআরসি মনে করে, উচ্চ শুল্ক ও করের কারণে বর্তমানে দেশীয় বাজারে হ্যান্ডসেটের দাম তুলনামূলক বেশি, যা বৈধ ব্যবসাকে নিরুৎসাহিত করছে।

৩. বিদেশ থেকে আমদানি করা এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের শুল্ক কাঠামোর মধ্যে সামঞ্জস্য আনা প্রয়োজন, যাতে কোনো পক্ষই বৈধ পথে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার না হয়।

বিটিআরসি মনে করে, এ তিনটি পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে মোবাইল হ্যান্ডসেট খাতে স্বচ্ছতা আসবে, রাজস্ব ফাঁকি রোধ হবে এবং বৈধ আমদানি ও উৎপাদন— উভয়ই উৎসাহিত হবে। একইসঙ্গে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হতে যাওয়া ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যক্রম আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এনইআইআর চালুর মাধ্যমে দেশের মোবাইল খাতে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও অবৈধ বাণিজ্যের অবসান ঘটবে বলে আমরা আশাবাদী। এতে একদিকে সরকারের রাজস্ব সুরক্ষিত হবে, অন্যদিকে বৈধভাবে আমদানি ও উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের বাজার আরও প্রসারিত হবে। আমরা ইতোমধ্যেই এনবিআরের সঙ্গে সমন্বয় করে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। আমরা মনে করছি, দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্পকে টিকিয়ে রাখা এবং বৈধ আমদানিকে উৎসাহিত করতে শুল্ক ও ভ্যাট হ্রাস করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমরা এনবিআরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। এতে একদিকে স্থানীয় উৎপাদন ব্যয় কমবে, অন্যদিকে বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে।’

বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক / ফাইল ছবি

তিনি আরও বলেন, ‘এনইআইআর সিস্টেম বাস্তবায়ন আমাদের টেলিযোগাযোগ খাতকে আরও স্বচ্ছ, নিরাপদ ও টেকসই করবে। এটি কেবল সরকারের রাজস্ব সুরক্ষায় নয়, বরং দেশের ডিজিটাল রূপান্তর ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্বাস করি।’

এনইআইআর চালু হলে মোবাইল ফোনের দাম এক টাকাও বাড়ানো হবে না : এমআইওবি

দেশে এনইআইআর চালু হলে মোবাইল ফোনের দাম এক টাকাও বাড়ানো হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অনার্স অব বাংলাদেশ (এমআইওবি)। তারা বলছে, দেশের মোবাইল ফোন বাজারের প্রায় ৬০ শতাংশই অবৈধভাবে আমদানি হওয়া। এতে করে সরকারের বছরে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।

চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রি (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে অবৈধ ও ক্লোনড আইএমইআইযুক্ত মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়া বন্ধ হবে এবং বৈধ আমদানি করা ও উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ব্যবহার নিশ্চিত হবে

এমআইওবি সভাপতি জাকারিয়া শহীদ বলেন, দেশে উৎপাদন সরঞ্জামের দাম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেলেও আমরা এখনও হ্যান্ডসেটের দাম বাড়াইনি। অথচ সরকারের এই যুগান্তকারী উদ্যোগের (এনইআইআর বাস্তবায়ন) বিরুদ্ধে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে এনইআইআর নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। লাগেজ পার্টিরাই এ ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছে।

এমআইওবি’র সহ-সভাপতি রেদওয়ানুল হক বলেন, একটি ব্র্যান্ড বাদে বিশ্বের প্রায় সব শীর্ষ ব্র্যান্ড এখন দেশেই মোবাইল ফোন উৎপাদন করছে। দেশের ৯০ শতাংশ চাহিদা দেশীয় কারখানায় পূরণ হচ্ছে। আমাদের শতভাগ সক্ষমতা আছে, কিন্তু বর্তমানে ৬০ শতাংশ সক্ষমতা ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা চাই দ্রুত যেন এনইআইআর বাস্তবায়ন করা হয় এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা হয়।

আরএইচটি/এমএআর