ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন

কিশোর গ্যাং ‘চাঁন-জাদু’ গ্রুপ ও ‘ব্যান্ডেজ’ গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের মুগদা থানা পুলিশ। চাঁন-জাদু গ্রুপের জাদুকে গ্রেফতার করতে পারলেও চাঁনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার (২৩ জুন) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ এসব তথ্য জানান। দুই গ্রুপের গ্রেফতার হওয়া সদস্যরা হলেন- জাদু, রবিন, নয়ন ইসলাম এবং ব্যান্ডেজ গ্রুপের মো. হিরো ও মো. রিপন।

মো. আ. আহাদ বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ করে আসামিদের তালিকা তৈরির পর মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই দুই গ্রুপের ৩২ কিশোর সদস্য রয়েছে। বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, এই দুই কিশোর গ্যাং সদস্যরা স্মার্টফোন ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করত। রাস্তায় চলাচলরত নারীদেরকে উত্যক্ত করা, ছিনতাই, মাদক সেবন, ইভটিজিং, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তারা। এছাড়া তারা প্রায়ই এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার জন্য দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে।

তিনি বলেন, এই দুই কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা স্মার্টফোন ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করত। রাস্তায় নারীদের উত্যক্ত করা, ছিনতাই, মাদক সেবন, ইভটিজিং, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত। এছাড়া তারা প্রায়ই এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানেও তারা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে। এরপর আশেপাশে কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেত।

তিনি আরও বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের ইন্ধনদাতা হিসেবে যদি প্রভাবশালী কেউ, এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কেউ জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আমরা এরইমধ্যে কমিয়ে এনেছি।

এমএসি/এমএইচএস