উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঋণ চুক্তি, বিনিয়োগ চুক্তি এবং ক্রয় চুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের অনুকূলে সেফটি ক্লোজ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একইসঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দরকষাকষির দক্ষতা বাড়াতে হবে।

সম্প্রতি এমন নির্দেশনা দিয়ে সব মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে এর আগে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, গত ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির চলতি বছরের ৩৮তম সভায় বিবৃত আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়- ‘উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঋণ চুক্তি, বিনিয়োগ চুক্তি এবং ক্রয় চুক্তি ইত্যাদি সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকারের অনুকূলে সেফটি ক্লোজ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নেগোসিয়েশনের (দরকষাকষি) দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।’

কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে সারসংক্ষেপের উপরোক্ত উদ্ধৃতাংশ পাঠানো হয়। প্রধান উপদেষ্টা গত ২৩ নভেম্বর এটি অনুমোদন দেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এরপর অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের কাছে এ চিঠিটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো হয়।

চুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের অনুকূলে ‘সেফটি ক্লোজ’ থাকা বলতে এমন ধারাকে বোঝানো হয়, যা চুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের নিরাপত্তা, ঝুঁকি হ্রাস এবং অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সুরক্ষা দেয়, যা কাজ বন্ধ রাখা, চুক্তি বাতিল করা বা ক্ষতিপূরণ দাবির মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে, নিশ্চিত করে যাতে কোনো পক্ষ অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং আইনি জটিলতা এড়ানো যায়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত সরকারের সময় বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে সরকারের সেফটি ক্লোজ বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। তাই সরকার এসব চুক্তির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এসএইচআর/এসএসএইচ