আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববর্তী শত্রুতার জেরে ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ও পাঁচ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টা থেকে শুরু হওয়া ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি হামলার ফলে তৈরি হওয়া অনভিপ্রেত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের তৎপরতায় একজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টার দিকে ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালের পেছনের গ্রিন রোডে দাঁড়িয়ে থাকা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের ঢাকা কলেজের ৮-১০ জন শিক্ষার্থী লাঠি হাতে ধাওয়া দিলে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিয়ে যায় নিউমার্কেট থানা পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় আইডিয়াল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে থানায় নেওয়া হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা থাকায় তাকে আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের একটি বাসে আইডিয়াল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী হামলা করলে ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্র আহত হন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা কলেজের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী লাঠি-স্ট্যাম্প নিয়ে আইডিয়াল কলেজের সামনে জড়ো হয়ে হামলা চালান। পরে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ও পাঁচটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য হাতে আঘাত পেয়ে আহত হয়েছেন। তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরলেও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা সেন্ট্রাল রোড এলাকায় জড়ো হয়ে আছেন। পুরো এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে গত ৯ নভেম্বর নিউমার্কেট থানার মধ্যস্থতায় ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘শান্তি চুক্তি’ করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে হাতে গোলাপ আর মুখে বন্ধুত্বের স্লোগানে ভবিষ্যতে আর সংঘর্ষে না জড়ানোর অঙ্গীকার করেছিল উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এক মাসও টিকল না সেই অঙ্গীকার। আজ ফের পাল্টাপাল্টি হামলা-সংঘর্ষে জড়িয়েছে উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।

আরএইচটি/এসএসএইচ