কোরিয়ার সহায়তায় নদীর পানির মান যাচাই ব্যবস্থা চালু করবে সরকার
বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির মান পর্যবেক্ষণ, দূষণ চিহ্নিতকরণ এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নজরদারি জোরদার করতে আধুনিক ও সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যাচ্ছে সরকার। এই উদ্যোগে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক সংস্থা গ্রিন ট্রানজিশন ইনিশিয়েটিভ (জিটিআই)।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ‘স্ট্রেংথেনিং ওয়াটার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে জানানো হয়, এই প্রকল্পের আওতায় কোরিয়ান বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে জিআইএস (ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা) ভিত্তিক দূষণ উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর প্রধান দূষণ উৎস ও এর ঘনত্ব চিহ্নিত করা যাবে।
পাশাপাশি তারা বৈজ্ঞানিক নমুনা সংগ্রহ নির্দেশিকা তৈরি করছেন। এতে নমুনা সংগ্রহের গভীরতা, নির্দিষ্ট মনিটরিং পয়েন্ট এবং সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে, যা পানি মান পরীক্ষার পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক মানদণ্ড নিশ্চিত করবে।
বিজ্ঞাপন
প্রকল্পের কাঠামো অনুযায়ী, জিটিআই ২০২৬ সহায়তা কার্যক্রমের অধীনে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প প্রস্তাবনা জমা দেবে। এই প্রস্তাবনার মাধ্যমে ২০২৭ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকার নদীব্যবস্থায় স্বয়ংক্রিয় পানি মান পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।
এ ছাড়া চলতি ডিসেম্বরে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং চলমান ধাপের সব কাজের ওপর একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দ্রুতই প্রকাশ করা হবে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা ২০২৬ সালের পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা করেন। জাতীয় পর্যায়ে স্বয়ংক্রিয় পানি মান পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, রিভার হেলথ অ্যাসেসমেন্ট প্রটোকল এবং প্রতিটি নদীর জন্য ‘রিভার হেলথ কার্ড’ চালুর সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় হয়। একটি নদী করিডোরকে পাইলট জোন হিসেবে নির্ধারণের বিষয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয়, যাতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় নিবিড়ভাবে তদারকি করতে পারে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন– পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ; যুগ্ম সচিব লুবনা ইয়াসমিন; উপসচিব ফাহমিদা হক খান ও সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু; পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম।
এ ছাড়া কোরিয়ান দলে উপস্থিত ছিলেন– কোরিয়া ইনভাইরনমেন্টাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক চো জু হিউন; গবেষণা বিশেষজ্ঞ বাইক ইন হোয়ান; ইএমসি কোং লিমিটেডের পরিচালক জুং কিউন জুন; ডেপুটি ডিরেক্টর জং ওয়ান; ম্যানেজার কিম আইয়ন এবং অন্যান্য অংশীদার সংস্থার প্রতিনিধিরা।
এসএইচআর/বিআরইউ