মোবাইল ফোন আমদানি ও ভেন্ডর লাইসেন্স তালিকাভুক্তি প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে। পাশাপাশি ক্লোন, কপি, ব্যবহার করা ও রিফারবিসড মোবাইল হ্যান্ডসেটের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আরও কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। 

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিটিআরসি ভবনে মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছে কমিশন।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, মোবাইল ফোন আমদানি ও ভেন্ডর লাইসেন্স তালিকাভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া সহজ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ’-এর প্রতিনিধিদের মধ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিদ্যমান জটিলতা দূর করে কীভাবে দ্রুততম সময়ে আমদানির অনুমোদন ও ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সনদ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানানো হয়েছে, ন্যূনতম কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সনদ দেওয়া হবে। তবে বিদেশ থেকে ক্লোন, কপি, ব্যবহৃত বা রিফারবিসড মোবাইল হ্যান্ডসেটের অনুপ্রবেশ বন্ধে মূল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অনুমোদিত যেকোনো ডিস্ট্রিবিউটরের প্রত্যয়নপত্র গ্রহণযোগ্য হবে। একই সঙ্গে বাজারে অবৈধ রিফারবিসড ও ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট ঠেকাতে আমদানির প্রক্রিয়া আরও সহজ করার বিষয়ে সুস্পষ্ট লিখিত প্রস্তাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিটিআরসি।

এ ছাড়া সংগঠনটির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে থাকা অবিক্রীত মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত করতে নির্ধারিত ছকে তথ্য জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে ‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা, ২০২৪’ মেনে বৈধভাবে আমদানি করা হলে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

আরএইচটি/বিআরইউ