দেশের সব কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বন্ধের দাবি
প্রস্তাবিত ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। পাশাপাশি সংগঠনটি দেশের সব কয়লাভিত্তিক প্রকল্প পর্যায়ক্রমে বন্ধ ও বাতিল করার জন্য দ্রুত একটি রোডম্যাপ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমে বাপার সভাপতি সুলতানা কামাল ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিলের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৩ জুন একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, প্রধানমন্ত্রী সরকারের পরিকল্পিত ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করেছেন।
বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে ২০১০ সাল থেকে বিতর্ক চলে আসছে। বাতিল করা প্রকল্পের মধ্যে বেসরকারি খাতে প্রস্তাবিত তিনটি প্ল্যান্ট, সরকারি খাতে চারটি এবং তিনটি যৌথ উদ্যোগ প্রকল্প রয়েছে। আরেকটি প্রকল্প মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে বলে এ খবরে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
কয়লাভিত্তিক কিছু প্ল্যান্ট বাতিল করার পরেও ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন করবে। বিদ্যুৎ বিভাগ ১৩ টি প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্টের সংক্ষিপ্ত কাগজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে এ বিষয়ে অবহিত করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৮ হাজার ৮৭৮ মেগাওয়াট পৌঁছে যাবে এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির অবদান প্রায় ১৩ হাজার ৯৯৯ মেগাওয়াট হবে।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যাপক পরিবেশ দূষণ এর কারণে বিশ্বব্যাপী কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে তহবিল সংকট দেখা দেয়ায় সরকার প্রস্তাবিত এই ১০ টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে তার দূরদর্শিতা এবং সঠিক নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলেও বাপা বিশ্বাস করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের সব কয়লাভিত্তিক প্রকল্প পর্যায়ক্রমে বন্ধ ও বাতিল করার জন্য দ্রুত একটি রোডম্যাপ তৈরি করার আহ্বান জানাচ্ছে বাপা। প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিবেশ দূষণকারী জ্বালানি এলএনজি নয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর শতভাগ নির্ভরতা অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি সমন্বিত, বিজ্ঞানভিত্তিক ও অংশগ্রহণমূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হোক।
এমএইচএন/আরএইচ