তিন বছরেও শেষ হয়নি রাইফার মৃত্যুর তদন্ত
দায়িত্বরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সাংবাদিক রুবেল খানের কন্যা শিশু রাইফার মৃত্যুর অভিযোগ এনে পরিবারের করা মামলার তদন্ত তিন বছরেও শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।
সোমবার (২৮ জুন) এক বিবৃতিতে সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম অবিলম্বে মামলার তদন্ত শেষ করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, শুরুতে চকবাজার থানা মামলার তদন্ত করলেও এখন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলার তদন্ত করছে। তদন্তকারী সংস্থার বদল হলেও মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি, যা খুবই দুঃখজনক। আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারের বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মানুষ তদন্তকারী সংস্থা ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাবে।
এদিকে, দুই বছর বয়সী রাইফার মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সিভিল সার্জনের গঠিত দুটি কমিটির প্রতিবেদনে ম্যাক্স হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও হাসপাতালটির কতিপয় চিকিৎসকের অবহেলার বিষয়টি উঠে আসে। কিন্তু সে অনুযায়ী পরবর্তীতে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতারা।
বিজ্ঞাপন
নেতারা বলেন, ব্যক্তির দোষের কারণে যাতে কোনো মহান পেশা নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি না হয় তা নিয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। যেকোনো পেশার প্রতিটি মহৎ মানুষের ত্যাগকে সম্মান জানাতে হবে। আর কারও গাফিলতি থাকলে তার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। না হলে সমাজে অনিয়ম বেড়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গলা ব্যথা নিয়ে ২০১৮ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম নগরের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাইফাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ জুন মধ্যরাতে মারা যান রাইফা। মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর দুই দফা ভুল চিকিৎসার স্বীকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে রাইফার।
এ অভিযোগে চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রাইফার বাবা রুবেল খান। মামলায় হাসপাতালে কর্তব্যরত শিশু বিশেষজ্ঞ বিধান রায় চৌধুরী, চিকিৎসক দেবাশীষ সেন, শুভ্র দেব ও ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী খানকে আসামি করা হয়েছিল।
কেএম/ওএফ