বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলমকে আজ ভর্তি করা হয় ঢামেকের করোনা ওয়ার্ডে/ ছবি : ঢাকা পোস্ট

বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম (৮৫) শ্বাসকষ্ট নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তির জন্য আনা হয়।

শুধু খোরশেদ আলমই নয় গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য রোগী এসে ভর্তি হচ্ছেন ঢামেকের করোনা ওয়ার্ডে। এতে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। 

ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউসহ বিভিন্ন ইউনিটে করোনা রোগীর জন্য ৭৮০টি শয্যা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে করোনা ইউনিট-২ এ শয্যা সংখ্যা ৬০০। শ্বাসকষ্টসহ করোনার অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে এ ইউনিটেই অধিকাংশ রোগী ভর্তি করা হয়। গত কয়েক দিন ধরে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চাপ পড়েছে হাসপাতালের এ ইউনিটে। এরই মধ্যে করোনা ইউনিটের ৫৮০টি শয্যা রোগীতে পূর্ণ। বাকি মাত্র ২০টি শয্যা আজ-কালের মধ্যেই পূর্ণ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা কর্তৃপক্ষের। 

আরও পড়ুন : কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ল ১৪ জুলাই পর্যন্ত

সোমবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিট ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। 
মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলমের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল জুয়েল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাবার বয়স অনেক। হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে আমি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাবাকে ঢাকা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে নিয়ে আসি। তবে তার করোনা হয়েছে কি না সেটা জানি না। চিকিৎসক আব্বাকে ভর্তি দিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বাসিন্দা নাজমা আক্তার করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে ভর্তি।  তার ছেলে নাইম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মায়ের গত কয়েক দিন ধরে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। পরে তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। দুদিন আগে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। আম্মুর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে ভর্তি করি। 

ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ওয়ার্ড মাস্টার মো. রিয়াজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢামেকের করোনা ইউনিট-২ এ শয্যা সংখ্যা ৬০০। এর মধ্যে ২০টি শয্যা ফাঁকা আছে। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে আজ-কালের মধ্যেই ফাঁকা থাকা শয্যা পূরণ হয়ে যাবে। 

আরও পড়ুন : সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি : এশিয়ায় বাংলাদেশ পঞ্চম

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এখানে আইসিইউসহ করোনা রোগীর জন্য ৭৮০টি শয্যা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে করোনা ইউনিট-২ এ শয্যা সংখ্যা ৬০০টি। গত কয়েক দিন ধরে রোগী বেড়ে যাওয়ায় এ ইউনিটে চাপ পড়েছে। বর্তমানে এ ইউনিটে ২০টি শয্যা ফাঁকা আছে। বিভিন্ন ইউনিটে ৬১৩ জন করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে। 

এসএএ/এসকেডি