ভ্যাকসিনের আওতায় আসছেন নৌসেক্টরের কর্মচারীরা
ভ্যাকসিনের আওতায় আসছেন নৌসেক্টরের কর্মচারীরা। আগামী বুধবার (১৪ জুলাই) থেকে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা বন্দর এবং স্থল বন্দরের ১২ হাজার কর্মচারীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌসেক্টরে করোনাভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সেবা দিচ্ছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমুদ্র ও স্থলবন্দরের কর্মচারীরা। তারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে সাপ্লাই চেইনটা অব্যাহত রাখছেন।
প্রথমবার লকডাউনে বেসরকারি একটি সংস্থা তাদের খাবারও সরবরাহ করেছে। যারা জাহাজে ছিল তাদের নামতেও দেওয়া হত না। ঝুঁকি নিয়ে আমাদের এই সেক্টরে কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে চট্টগ্রামে ১৫ জন মারা গেছেন, অনেকে অসুস্থও ছিলেন। সেখানে ডেডিকেটেড হাসপাতালও করা হয়েছে, বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, গতবারই যখন প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল আমরা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়েছিলাম, তাদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনার জন্য। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছি।
চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা বন্দর এবং আমাদের স্থল বন্দরের যারা কাজ করছে, যাদের তালিকা আছে তাদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। এখানে সব দক্ষ লোকজন কাজ করে, তারা আক্রান্ত হলে আমাদের কাজগুলো কঠিন হয়ে যাবে। আমরা আগামী বুধবার থেকে ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছিল তারা কিন্তু ঝুঁকিমুক্তভাবে কাজ করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, সবাই ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে, কেউ বাদ পড়বে না। আমরা প্রথম পর্যায়ে ১২ হাজারের জন্য ভ্যাকসিন আনব। এ কার্যক্রমটি চলমান থাকবে, বন্ধ হবে না।
প্রচুর পরিমাণে ভ্যাকসিন আসছে, আমরা গর্ব করেই বলতে পারি, সারা পৃথিবীতে যখন কেউ ভ্যাকসিন পাচ্ছিল না, কিন্তু প্রথম ৩০টি দেশের মধ্যে আমরা ভ্যাকসিন পেয়েছি। তাই ভ্যাকসিনের বিষয়ে আমরা সঠিকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। এই ভ্যাকসিন নাবিক, শ্রমিক সবাই পাবে। ভ্যাকসিনের কোনো সংকট নেই, বলেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এসএইচআর/জেডএস