বঙ্গোপসাগরে মিড ওয়াটার ট্রলার বাড়ানোর অনুমোদন বাতিল
বঙ্গোপসাগরে একান্ত অর্থনৈতিক এলাকায় মিড ওয়াটার ট্রলারের সংখ্যা বাড়ানোর অনুমোদন বাতিল করে দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন বাতিল করা হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বিজ্ঞাপন
বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু আহরণ, সংরক্ষণ এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ১৫টি নতুন মিড ওয়াটার ট্রলার বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছিল। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও কোনো ট্রলারের লাইসেন্স পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
পরে ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল তৎকালীন মৎস্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেন যে, বটম ওয়াটার ট্রলারকে মিড ওয়াটার ট্রলার করার জন্য আদেশ দেওয়া হোক। মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, বলেন তিনি।
এদিকে, বৈঠকে ‘কাস্টমস আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১২ সাল থেকে এটা নিয়ে টানাহেঁচড়া হচ্ছে। এর আগে ‘কাস্টমস আইন, ২০২০’ নামে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। যেহেতু ফেরত এসেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধন করে উন্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কাস্টমস মূল্য, অ্যাসেসেবল ভ্যালু এবং ইলেকট্রনিক ডাটা, মুদ্রা ও দলিলপত্র সংযোজন করা হয়েছে। যা আগের আইনে ছিল না।
অন্যদিকে, ভুটানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। চুক্তিতে অনুসমর্থন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির মাধ্যমে কিছু পণ্যে আমদানি-রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধার জন্য দ্রুত দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে চুক্তির আর্টিকেল ২২-এ লেখা আছে। এটি বাস্তবায়নে ক্যাবিনেটের অনুসমর্থনের প্রয়োজন আছে, সেজন্য ক্যাবিনেটে নিয়ে আসা হয়েছিল। ক্যাবিনেট এটি অনুমোদন দিয়েছে।
২০১০ সাল থেকে ভুটানকে ১৮টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে ভুটান বাংলাদেশকে ৯২টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে আসছে। আর নতুন চুক্তির ফলে ভুটান আরও ১৬টি এবং বাংলাদেশ আরও ১০টি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।
আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে এ ধরনের বাণিজ্যিক চুক্তি আরও করা যায় কিনা, সে বিষয়ে মন্ত্রিসভা থেকে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যাতে বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণ করা যায়।
এসএইচআর/জেডএস