প্রতীকী ছবি

লিজ নেওয়া সরকারি জমি সাব-লিজ দেওয়া যাবে না। এছাড়া জমির শ্রেণী বা আকার অথবা প্রকারেরও কোনো পরিবর্তন করা যাবে না।

সম্প্রতি ‘অর্পিত সম্পত্তির অস্থায়ী ইজারার সালামির হার পুনর্নির্ধারণ’ পরিপত্র সংশোধন করে আরেকটি পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। পরিপত্রে বিষয়টি জানানো হয়েছে। 

পরিপত্রের সংশোধিত অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘অস্থায়ীভাবে ইজারা করা প্রত্যর্পণযোগ্য অর্পিত সম্পত্তির মেরামতের ক্ষেত্রে ইজারা গ্রহীতা জেলা প্রশাসক বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতিক্রমে অবকাঠামোর কোনোরূপ পরিবর্তন না করে অথবা কোনো নতুন স্থাপনা নির্মাণ না করে নিজ ব্যয়ে বর্তমান স্থাপনার প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ করতে পারবেন। তবে মেরামত বাবদ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির বার্ষিক ইজারার টাকার সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।’

আগের পরিপত্রের সঙ্গে দুটি নতুন অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে সংশোধনীতে। 

এরমধ্যে একটি হচ্ছে- ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপযুক্ত পরিপত্র অনুযায়ী চালু হওয়া অর্পিত বাড়ি-ঘরের সালামি বর্গফুট নির্ধারণের হার বহাল থাকবে। তবে, বাড়ি-ঘরের অবস্থা ও অবস্থান বিবেচনা করে নির্ধারিত ভাড়ার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কম-বেশি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের সুনির্দিষ্ট যৌক্তিকতা, ব্যাখ্যাসহ সুপারিশ বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদিত হতে হবে এবং ভূমি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।’ 

অপরটি হলো, ‘খালি জমি ইজারা নিয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে নিজ খরচে ঘর উঠালে সেক্ষেত্রে ওই খালি জমির নির্ধারিত ইজারা মূল্যের সঙ্গে অবকাঠামোর জন্য নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত হিসেবে আরও ২০ ভাগ ইজারা গ্রহীতাকে পরিশোধ করতে হবে।’

সংশোধনীতে ২০১৯ সালে জারি হওয়া পরিপত্রের ৬, ৭ এবং ৮ অনুচ্ছেদ বহাল থাকার কথাও বলা হয়েছে।

লিজগ্রহীতা এবং জেলা প্রশাসকদের মতামতের ভিত্তিতে সালামির অর্থ আদায়যোগ্য এবং জনবান্ধব করার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়। এর ভিত্তিতে ভূমি মন্ত্রণালয় গত ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ‘অর্পিত সম্পত্তির অস্থায়ী ইজারার সালামির হার পুনর্নির্ধারণ’ শীর্ষক পরিপত্র জারি করে।

এসএইচআর/জেডএস