ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন না করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (১৭ জুলাই) গুলশানের নগর ভবনে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ডিএনসিসি এলাকায় স্থাপিত ৯টি পশুর হাট (১টি স্থায়ী ও ৮টি অস্থায়ী) ইজারার কার্যাদেশের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালনসহ সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য গঠিত মনিটরিং টিমের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এরইমধ্যে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের একটি মনিটরিং টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। টিমে ১৩ জন কাউন্সিলর এবং ২ জন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা রয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত প্রত্যেকটি পশুর হাটেই সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিগুলো প্রতিপালনে ডিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।

আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, প্রতিটি হাটেই শক্তি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২শ প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক, ২শ গেঞ্জি এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ইজারাদারদের পক্ষ থেকে সব হাটেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। পশুর হাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে বজায় রাখতে হবে। ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সশরীরে কোরবানির পশুর হাট এড়ানোর লক্ষ্যেই 'ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট-২০২১' এর আয়োজন করা হয়েছে। নিজের পরিবারসহ শহর ও দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে আমাদের সবাইকে সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিগুলো যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইমরান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/জেডএস