দিনাজপুর থেকে সিলেটগামী একটি বাসের লকারে ৪৬টি ছাগলকে ১৪ ঘণ্টা বন্দি করে রাখার ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছাগলগুলোর মালিক মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

শনিবার (১৭ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দফতরের এআই‌জি (মি‌ডিয়া অ্যান্ড পাব‌লিক রি‌লেশন্স) মো. সোহেল রানা।

তিনি বলেন, শুক্রবার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমে একটি সংবাদ আসে, তাতে লেখা হয় বাসের লকারে ১৪ ঘণ্টা বন্দি করে ৪৬টি ছাগলকে সিলেট নেওয়া হয়। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়, দিনাজপুর থেকে নওশীন পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের মালপত্র রাখার লকারে গাদাগাদি করে আটকে সিলেটে নেওয়া হয়েছে ৪৬টি ছাগল। বর্বরোচিত উপায়ে লকারের মধ্যে দীর্ঘসময় ঠাসাঠাসি করে আটকে রেখে পরিবহন করায় অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাগলগুলো।

তিনি বলেন, বিষয়‌টি দৃষ্টিতে আসার পরপরই সংবাদের তথ্য অনুযায়ী দিনাজপুর জেলার সদর থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলে বাংলা‌দেশ পু‌লি‌শের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। প্রাথমিক তদন্তে দিনাজপুর সদর থানার ওসি নিশ্চিত করেন বাসটি তার এলাকা থেকে ছেড়ে গেলেও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকায় যাত্রা বিরতির সময় ওই বাসে ছাগলগুলোকে তোলা হয়। এর পরপরই বিষয়টি শিবগঞ্জ থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলামকে পাঠিয়ে অপরাধীদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনে আওতায় আনার নির্দেশনা দেয় মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।

মো. সোহেল রানা বলেন, শিবগঞ্জ থানার ওসি তাৎক্ষণিক তার একটি টিমকে এ বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োজিত করেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবশেষে ছাগলগুলোর মালিক মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে গাইবান্ধার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। বাসে করে ছাগল পরিবহনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা চলছে।।

এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।

এমএসি/জেডএস