সড়কে ভাড়া নৈরাজ্যের অভিযোগ যাত্রী কল্যাণ সমিতির
স্বাভাবিক সময়ে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত যেতে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায় করা হতো ২৬ টাকা। অর্ধেক সিট ফাঁকা রাখার শর্তে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করায় বর্তমানে এ রুটের ভাড়া হওয়ার কথা ৪২ টাকা। যদিও আদায় করা হচ্ছে ৪৫ টাকা। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এ দূরত্বে যাতায়াতে আগে ২৫০-৩০০ টাকা লাগত। এখন ৫০০ টাকা লাগছে বলে অভিযোগ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীতে প্রত্যেকটি যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির।
বিজ্ঞাপন
বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সংগঠনটি বলছে, রাজধানীতে ঈদযাত্রা সামনে রেখে গণপরিবহনে ভাড়া সন্ত্রাস চলছে। গাবতলী মাজার রোড থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত সিটি সার্ভিসের ৮ নম্বর বাসে নিয়মিত ১৫ টাকা বাস ভাড়া আদায় করা হতো। ৬০ ভাগ বর্ধিত ভাড়ায় ২৪ টাকা আদায়ের কথা থাকলেও ৩০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিআরটিসি বাসে কাকলী থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত চলাচলে বর্ধিত হারে ভাড়া ২০ টাকা আদায়ের কথা, অথচ এ পথে ভাড়া আদায় হচ্ছে ৩০ টাকা। স্বাভাবিক সময়ে যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া পর্যন্ত যেতে ৮০ টাকার বাস ভাড়া গত দুই দিন ধরে ২০০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির অভিযোগ, দূরপাল্লার ক্ষেত্রে ঢাকা আশুলিয়া বাইপাইল মোড় থেকে রংপুর রুটে ৬০০ টাকার বাস ভাড়া গত দুই দিন যাবত ২১০০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে রংপুর রুটে ৮৫০ টাকার বাস ভাড়া ২২০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
সংগঠনটির দাবি, দেশের বিভিন্ন রুটে হিউম্যান হলার, অটোটেম্পু, অটোরিকশায় বিদ্যমান ভাড়ার চেয়ে কোথাও দ্বিগুণ আবার কোথাও তিনগুণ বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি বা অর্ধেক যাত্রী বহনে সরকারি নির্দেশনা থাকলে তা মানা হচ্ছে না।
করোনা সংকটে পতিত দেশের সাধারণ মানুষের ওপর গণপরিবহনগুলোর এমন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের জুলুম থেকে মুক্তি দিতে পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
পিএসডি/এসকেডি