মিজানুর রহমান খানের মৃত্যু বিচার বিভাগের অপূরণীয় ক্ষতি
আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের (৫৩) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবীরা। তারা বলেছেন, মিজানুর খানের মৃত্যুতে বিচার বিভাগের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। বিশেষ করে আইন, আদালত ও বিচার বিভাগ নিয়ে তার লেখনির শূন্যতা অনুভব করবে আইনজীবী সমাজ।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের এই চলে যাওয়াটা সাংবাদিকতায় বিশেষ করে আইন সাংবাদিকতায় বিরাট শূন্যতার তৈরি হলো। তার লেখা পড়ে মনেই হতো না যে তিনি আইনজীবী নন। আইন বিষয়ে তার এত স্বচ্ছ ধারণা ছিল যে, তা বলার অবকাশ রাখে না। সাহসী সাংবাদিকতা তথা আইন নিয়ে লেখায় তিনি পথিকৃৎ। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
বিজ্ঞাপন
দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে সাংবাদিকতা জগত এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারাল। মিজানুর রহমান খান আইনের খুঁটিনাটি বিষয় অনুসন্ধান করতেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় বিশ্লেষণ করতেন। বিচার বিভাগ নিয়ে তথ্যবহুল কলাম লিখতেন। আমি মনে করি আইনজীবী সমাজ, বিচার বিভাগ তার শূন্যতা অনুভব করবে। আমি গভীর শোকাহত।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমি মনে করি আইন ও সংবিধান নিয়ে মিজানুর রহমান খানের মতো পণ্ডিত সাংবাদিক সমাজে দ্বিতীয় কেউ নেই। তিনি সংবিধান ও আইনকে সহজ ভাষায় লেখনির মাধ্যমে জনগণের মধ্যে তুলে ধরেছেন। তার মৃত্যুতে সত্যিই আইন ও বিচার বিভাগের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান (৫৩) ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মিজানুর রহমান খান গত ২৭ নভেম্বর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। প্রথমে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেন। সেখান থেকে গত ১০ ডিসেম্বর তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রেখে চিকিৎসার একপর্যায়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। আজ সন্ধ্যা ছয়টা পাঁচ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এমএইচডি/জেডএস