কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের মাহিন্দ্রর বৈঠক মঙ্গলবার
গত ডিসেম্বরে ‘কৃষিখাতে ভারত-বাংলাদেশের সহযোগিতা বিষয়ক ডিজিটাল কনফারেন্সের’ পুরাতন ছবি
বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিনিয়োগ করতে চায় ভারতের মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পবন গোয়েঙ্কার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) কৃষিমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বেলা সাড়ে ৩টায় বৈঠকটি শুরু হবে।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন কৃষিমন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারাসহ মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেডের ফার্ম ইকুইপমেন্ট সেক্টরের প্রেসিডেন্ট হেমন্ত সিক্কা ও বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড রবিন কুমার দাশ।
গত ডিসেম্বর মাসে ‘কৃষিখাতে ভারত-বাংলাদেশের সহযোগিতা বিষয়ক ডিজিটাল কনফারেন্সের’ ফলোআপ হিসেবে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানায় কৃষিমন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৫১ হাজার কৃষিযন্ত্রপাতি কৃষকদের দেওয়া হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক
ওই কনফারেন্সে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, টাটা স্টিল এবং মাহিন্দ্র ও মাহিন্দ্র লিমিটেডের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, ফুড প্রসেসিং, ফুড ভ্যালু চেইনসহ কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
গত মাসে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সের শুরুতে ভারতকে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও অ্যাগ্রো প্রসেসিংয়ে বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
ওই সময়ে বাংলাদেশ কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার এ বছর ২০০ কোটি টাকার মাধ্যমে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপারসহ কৃষিযন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। এছাড়াও তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৫১ হাজার কৃষিযন্ত্রপাতি কৃষকদের দেওয়া হবে।
কৃষিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে কৃষিযন্ত্রপাতির বাজার প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলারের। যা বছরে গড়ে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ বিশাল বাজারে ভারত যদি সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিনিয়োগ করে, তবে দুই দেশই উপকৃত হবে। বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা স্থাপন ও অ্যাসেম্বল হলে দেশ যেমন এগিয়ে যাবে পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। আর কৃষকেরা কম দামে যন্ত্রপাতি কিনতে পারবেন।
কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, ভারত ও বাংলাদেশে ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ কৃষিতে যুক্ত রয়েছেন। ভারত বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, ফুড প্রসেসিং ও ফিস-অ্যাকুয়াকালচার এই তিনটি খাতে অধিক গুরুত্বসহ কৃষির সকল ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
একে/এইচকে