চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামের ৫০ হাজারের মতো মানুষ পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা এই ঈদ উদযাপন করছেন।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী দিদারুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা ঈদের নামাজ আদায় করেছি। করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। এরপর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে মির্জাখীল দরবার শরীফে বড় ঈদ জামাত পরিহার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, আনোয়ারার বরুমচড়া ও তৈলারদ্বীপ গ্রামে সকাল সাতটায় ঈদের জামাত শেষে পশু কোরবানি দেওয়া হয়। এছাড়াও মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়া, সোনাকানিয়া, গারাঙ্গিয়া, চরতী, বাজালিয়া, ছদাহা, কেওচিয়া ও গাটিয়াডেঙ্গা; লোহাগাড়ার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, বাঁশখালীর জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর; পটিয়ার হাইদগাঁও, বাহুলী ও ভেল্লাপাড়া এবং বোয়ালখালী ও ফটিকছড়ির বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ঈদ উদযাপন করছেন।
উল্লেখ্য, মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ ও রোজা পালন করে থাকেন।
কেএম/জেডএস