ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, কেউ যদি নিজের বাড়ির সামনে কোরবানির পশুর বর্জ্য ফেলে রাখেন তাহলে ডিএনসিসির ময়লার গাড়ি থেকেও তার বাড়ির সামনে অধিক পরিমাণ বর্জ্য ফেলে আসা হবে।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীতে দেশের সর্ববৃহৎ ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) কর্তৃক করোনা রোগীদের জন্য বাইপ্যাপ ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সবার আন্তরিক সহযোগিতায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে। বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সর্বমোট ১১ হাজার ৫০৮ জন কর্মী কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে গুলশানের নগর ভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলো হলো- ০২৫৮৮১৪২২০, ০৯৬০২২২২৩৩৩ ও ০৯৬০২২২২৩৩৪।

কোরবানির পশুর বর্জ্য দিয়ে যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয় সেজন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নগরবাসীর মাঝে ইতোমধ্যে ছয় লাখ ৫০ হাজার বর্জ্যব্যাগ, ৫০ টন ব্লিচিং পাউডার এবং পাঁচ লিটার আয়তনের ১০০৫ ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছ।

ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে বিজিএমইএ কর্তৃক রোগীদের জন্য বাইপ্যাপ ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেয়র

মেয়র বলেন, করোনা মহামারি চলাকালে যার যা সামর্থ্য আছে তা নিয়েই ত্যাগের মানসিকতায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতার ফলেই অল্প সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’। এখানে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ হাসপাতালের জমি, ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ভবনটি মার্কেটের জন্যই করা হয়েছিল। এখানে দোকান বরাদ্দ থেকে বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু নগরবাসীকে সেবা দিতে এটিকে হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। মহামারি শেষ হলে এটি সিটি করপোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এমএআর/