ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার কোরবানির পশুর হাটগুলোতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কাজ করছে ‘বি হ্যাপি’ নামক একটি সামাজিক সংগঠন। 

হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরিধান, স্যানিটাইজ করা এবং বিভিন্ন বিষয়ে দেখভাল করছেন সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়াও হাটের প্রবেশমুখে এলইডি মনিটরে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন ও কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্পর্কিত দুটি অ্যানিমেশন বার্তা প্রচার করছেন তারা।

পাশাপাশি নগরবাসীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, কোরবানির পশুর বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার অনুরোধ সম্বলিত ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের ঈদ শুভেচ্ছার ভিডিও বার্তা প্রচার করছেন ‘বি হ্যাপি’র সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জিহাদ হোসেন জানান, মাস্ক ছাড়া কেউ হাটে প্রবেশ না করতে পারেন, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এবারের ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে এ কাজ করছি। হাট শুরুর দিন থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। হাট শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা চলবে।

সংগঠনটির কার্যনির্বাহী পরিচালক ইকরাম আহমেদ পুশন বলেন, ঢাকা দক্ষিণের প্রতিটি হাটে আমাদের আটজন স্বেচ্ছাসেবী ও দুজন সুপারভাইজার মাস্ক পরানোসহ সচেতনতা সৃষ্টিতে দুই শিফটে কাজ করে যাচ্ছেন৷ 

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এক লাখ মাস্ক বিনামূল্যে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তিনদিনের মধ্যে তা শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা আরও ৫০ হাজার মাস্ক বিতরণ করছি। ১১টি হাটে ১৪টি এলইডি মনিটরে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে উদ্বুদ্ধ করতে দুটি অ্যানিমেটেড ভিডিও ক্লিপ এবং পশু বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার অনুরোধ সম্বলিত দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের ঈদ শুভেচ্ছার ভিডিও বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিতরণ করা হচ্ছে ২ লাখ লিফলেট।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাথে এক সমঝোতা স্বাক্ষরের মাধ্যমে ১১টি হাটেই এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।

এএসএস/আরএইচ