অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে দ্রুতই অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে ‘চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, সরকার ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে, এটি আরও জোরদার করা হবে। পাশাপাশি অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে দ্রুতই অভিযান শুরু হবে। সরকারিভাবে চাল আমদানি হচ্ছে এবং বেসরকারিভাবে আমদানির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। 

মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অতি মুনাফাখোর ও অবৈধ মজুতদারদের সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না।

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম বলেন, এখন চালের হিউম্যান ও নন হিউম্যান কনজামশন হচ্ছে। ফলে চাহিদা বাড়ছে, এটি বিবেচনায় রাখতে হবে। এসময় তিনি বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে বেসরকারিভাব চাল আমদানির পক্ষে মত দেন।

সভায় মিল মালিকদের প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার আব্দুর রশিদ বলেন, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক নায্যমূল্যও পেয়েছে। ধান চালের ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ধানের অবৈধ মজুত করেছে বেশি মুনাফার আশায়। মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি। 

একইসঙ্গে মিল গেটের দামের সঙ্গে বাজার দরের ব্যবধান বেশি হচ্ছে কেন, তা খতিয়ে দেখার অনুরোধও জানান রশিদ। 

ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এসিআই লিমিটেডের অনুপ কুমার সাহা বলেন, বাংলাদেশে ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে চালের দাম বেশি হচ্ছে। কৃষকের উৎপাদন খরচ কম হলে চালের দামও কমে যাবে। কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচের সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে বাজার মনিটরিং সহজ হবে। 

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ এবং খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর।

এসএইচআর/এসএম