কারখানা চালুর আগে পোশাক শ্রমিকদের জন্য পরিবহন, টিকা, ঝুঁকি ভাতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। এছাড়া সংগঠনটি বলছে, কঠোর বিধিনিষেধে সরকার রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা চালু করার ঘোষণা দিয়ে পোশাক শ্রমিকদের দ্বিমুখী সংকটে ঠেলে দিচ্ছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

শনিবার (৩১ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে ফ্রন্টের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি ও নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার ১৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে ঘোষণা করেছিল ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে নিত্যপ্রয়োজনীয় জরুরি সেবা ছাড়া সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে এবং পরে সরকার একাধিকবার এই কথা উল্লেখ করেছে, বিশেষত শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিল। কিন্ত শিল্প মালিকদের চাপে গতকাল রাতে আকস্মিকভাবে ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খোলা থাকবে বলে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার জন্য পরিবহন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক আয়োজন সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। ফলে চাকরি হারানোর ভয়ে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে আটকে থাকা লাখ-লাখ শ্রমিককে গণপরিবহন বন্ধ থাকা অবস্থায় দুর্ভোগ আর ঝুঁকিকে সঙ্গী করে একদিনের মধ্যে কর্মস্থলে ফিরতে হবে। পরিবহন ও আনুষঙ্গিক আয়োজন ছাড়া সরকারের এই ঘোষণা একদিকে লাখ-লাখ শ্রমিককে যাত্রাপথের ঝুঁকি এবং অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়ের ক্ষতি, অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ আর চাকরি হারানোর ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিয়েছে।

আরও বলা হয়, আমরা গতবছর দেখেছি শিল্প-কারখানা মালিকরা ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিকদের দিয়ে কারখানা চালু করার অনুমতি নিয়ে কীভাবে গ্রামে অবস্থান করা শ্রমিকদের ফোন করে চাকরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেছিল। আগের এই অভিজ্ঞতার পরেও সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত, শ্রমিকদের স্বার্থ ও সুরক্ষা বিবেচনা না করার আরও একটি নজির। 

মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের একতরফা অবস্থানের নিন্দা জানাচ্ছি এবং শিল্প-কারখানা চালুর আগে শ্রমিকদের জন্য পরিবহন ও টিকা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঝুঁকি ভাতা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

এমএইচএন/জেডএস