স্বাস্থ্যবিধি মেনে অটোরিকশা চালুর দাবি
সিএনজি অটোরিকশাকে কঠোর বিধিনিষেধের আওতামুক্ত পরিবহন ঘোষণা করে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত সাপেক্ষে চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিএনজি অটোরিকশা চালক সংগ্রাম পরিষদ।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিষদটি আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টসহ বিভিন্ন ধরনের করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ঈদুল আজহার পর সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। নির্দেশনা মেনে অন্যান্য গণপরিবহনের মতো সিএনজি অটোরিকশাও বন্ধ রয়েছে। যার ফলে শুধুমাত্র ঢাকা মেট্রোতেই প্রায় ১ লাখ চালক বেকার হয়ে পড়েছে। চালকরা দিন আনে দিন খায়। অনেক সময় আবার অর্ধাহারে-অনাহারে থাকে। বর্তমানে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের বড় দুর্দিন চলছে। কিন্তু এই চালকদের জন্য সরকারের কোনো দৃষ্টি নাই।
তারা আরও বলেন, মূলত সিএনজি চালিত অটোরিকশা ব্যক্তিগত যানবাহন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাই এতে করোনা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আগামীকাল থেকে রফতানিমুখী সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালুর ঘোষণা দেওয়ায় গ্রাম থেকে শ্রমিকরা অত্যধিক ভাড়া দিয়ে কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধির ধার না ধেরে কর্মস্থলে আসছে। এতে সংক্রমণের মাত্রা অত্যধিক পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আশংকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের কর্মরত লোকজন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তি শিকার হচ্ছে। তাছাড়া কোডিভ আক্রান্ত রোগীদের পরিবহন স্বল্পতার কারণে তার স্বজনেরা দ্রুত হাসপাতালে নিতে পারছে না। এতে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার যদি এবারও সিএনজি অটোরিকশাকে কঠোর বিধিনিষেধের আওতামুক্ত পরিবহন ঘোষণা করে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে চালানো অনুমতি দেয় তাহলে জনগণ যেমন সেবা পাবে, তেমনি অসহায় সিএনজি চালকরাও পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে।
বিজ্ঞাপন
তারা দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা সারাদেশের সিএনজিচালক ও তার পরিবারকে রক্ষার্থে সরকারের সিএনজি অটোরিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল ও সিএনজি অটোরিকশাকে কঠোর বিধিনিষেধের আওতামুক্ত পরিবহন ঘোষণা করে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পালন সাপেক্ষে সিএনজি চালুর জোর দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফ ও যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, এ আর জাহাঙ্গীর, মো. গোলাপ হোসেন প্রমুখ।
এমএইচএন/এইচকে