রিকশার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়েছে মিরপুরে
রিকশার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়েছে রাজধানীর মিরপুরের সড়কে। সোমবার (৯ আগস্ট) মিরপুর এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী চলমান কঠোর বিধিনিষেধে গণপরিবহনসহ জরুরি ছাড়া সব ধরনের পরিবহন ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে রিকশা ও ভ্যান চলাচলে এতদিন কোনো বাধা ছিল না। যার ফলে মিরপুরের সড়কগুলো রিকশার দখলে রয়েছে। তবে আজ থেকে রিকশার সাথে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের চলাচল বেড়েছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিধিনিষেধের মধ্যে প্রতিদিনই সড়কে অফিসগামী মানুষের চাপ বাড়ছে। সাধারণ যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সে হিসেবে সড়কে গাড়ি চলাচল বাড়েনি। ফলে সাধারণ মানুষকে বাধ্য হয়ে রিকশায় গন্তব্যে যেতে হয়েছে। অফিসগামী মানুষদের রিকশার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে সড়কে আগের চেয়ে পুলিশের চেকপোস্টও কমেছে।
বিজ্ঞাপন
শিমুল নামের এক প্রাইভেটকারের চালক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১১ আগস্ট (বুধবার) থেকে বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে। গতকাল (৮ আগস্ট) এ ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ঘোষণার পর থেকেই গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সাহস পেয়েছি। তাছাড়া আজ রাস্তায় পুলিশের ঝামেলা নেই বললেই চলে। আমি সকাল থেকে রাস্তায় আছি। এখন পর্যন্ত একবারও পুলিশ আটক করেনি।
রিকশাচালক হযরত নামের একজন বলেন, লকডাউন খুলে দেওয়াতে আমাদের ভাড়া কমবে। কারণ, এতদিন রিকশা ছাড়া তো রাস্তায় কোনো গাড়ি ছিল না। তাই যাত্রীরা বাধ্য হয়ে রিকশায় উঠতেন। ভাড়াও বেশি দিতেন।
রোববার (৮ আগস্ট) বিকেলে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিধিনিষেধ শিথিল হবে ১১ আগস্ট (বুধবার) থেকে। প্রজ্ঞাপনে বিধিনিষেধ পুরোপুরি উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়নি। ‘শিথিল’ শব্দটিও সেখানে লেখা হয়নি। সেখানে ‘নতুন শর্তে’র কথা বলা হয়েছে। তবে যা বলা হয়েছে তার অর্থ দাঁড়ায় কিছু বিষয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।
এর আগে রোববার দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ১০ আগস্টের পর সবকিছু ধাপে ধাপে খুলবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
গত ৩ আগস্ট ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট, শপিংমলসহ গণপরিবহন খুলে দেওয়ার পাশাপাশি সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়া হবে।
এর আগে করোনার সংক্রমণ রোধে সব ধরনের অফিস বন্ধ রেখে গত ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করে সরকার। এরপর কোরবানির ঈদের আগে গত ১৫ জুলাই থেকে আট দিনের জন্য সব বিধিনিষেধ শিথিল করে দেওয়া হয়। পরে আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। তবে এর মধ্যেই গত ১ আগস্ট থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে রফতানিমুখী শিল্প ও কলকারখানা।
এসআর/এইচকে