তিন হাসপাতাল ঘুরে মেলেনি চিকিৎসা, পরে ঢামেকে মৃত্যু
রাজধানীর মিরপুরে দুপুর ১২টার দিকে দুর্ঘটনার শিকার হন ৬০ বছর বয়সী এক নারী। এরপর ৫ ঘণ্টা ধরে তিন হাসপাতাল ঘুরে কোনো চিকিৎসা পাননি তিনি। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে মারা যান ওই নারী।
নিহত নারীর নাম ফরিদা বেগম। তার স্বামী মনসুর আলী ঢাকা পোস্টকে জানান, সোমবার রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম এলাকায় রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসের ধাক্কায় আহত হন ফরিদা বেগম। তিনি আহত স্ত্রীকে বেসরকারি সেলিনা হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর তিনি ছেলেকে ডেকে আনতে যান। ফিরে এসে দেখেন স্ত্রী সেলিনা হাসপাতালে নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘পরে আমরা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, আমার স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছেলেকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যাই। কিন্তু সেখানেও স্ত্রীকে পাইনি। তারপর আমার ছেলে এক ব্যক্তির মাধ্যমে মিরপুরের সেলিনা হাসপাতালে খোঁজ নেয়। জানা যায় সেখানেই আছে আমার স্ত্রী।’
মনসুর আলীর ছেলে শাহআলম জানান, ঢাকা মেডিকেল থেকে তারা আবার মিরপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে অবস্থা ভালো নয় বুঝতে পেরে তারা পুনরায় ফরিদা বেগমকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
নিহত ফরিদা বেগমের ছেলের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর ৫ ঘণ্টা ধরে তার মা কোনো চিকিৎসাই পাননি। ঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে ফরিদা বেঁচে যেতেন বলে দাবি করেন তিনি।
গতকাল রোববার কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার মিরপুরে ছেলের বাসায় বেড়াতে আসেন মনসুর আলী ও ফরিদা বেগম। আজ দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তা পার হতে গেলে দারুস সালাম এলাকায় একটি বাস ফরিদাকে চাপা দেয়।
ফরিদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে জানান, মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
এসএএ/আরএইচ/জেএস